প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২০ , ৯:১৯:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক॥ স্বরূপকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা রজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানায় মেয়েটি তার পিতা দ্বীন ইসলাম কে সাথে নিয়ে নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ধর্ষিতার মেডিকেল করানোর জন্য পিরোজপুর সিভির সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।মেয়ের তার লিখিত বিবরনে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী। লেখা-পড়ার পাশাপাশি বাবার অভাবী সংসারের জন্য প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত।
সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল তাকে প্রায়ই কু প্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত।এবং বলতো খাইরুল তোকে ভালোবাসে এবং বিয়ে করতে চায়।ঘটনার দিন নাসরিন তার স্বামী বাড়ী নেই বলে তার কাছে থাকার জন্য বলেন।
ছাত্রীটি রাজি হয়ে ওই বাড়ী গেলে সেখানে খাইরুলকে দেখেতে পায়। নাসরিন মেয়েটিকে বলে খাইরুল তোর সাথে জরুরি কথা বলবে ঘরের পিছনে গিয়ে কথা শুনে আয়, আমিও দরজা বন্ধ করে আসতে আছি। মেয়েটি সেখানে যেতে আপত্তি করে। একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে মেয়েটির গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে মুখ ও হাত বেধে ফেলে এবং খাইরুলের কাছে থাকা গামছা দিয়ে পা বেধে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে আবার হাতপা খুলে দিয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
মেয়টি নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে বলে এমন ক্ষতি কেন করলেন আমার।সে বলে তোকে ও বিয়ে করবে। কাজেই একথা কাউকে বলিস না আর বিয়ের আগে এসব একটু একটু হয়ে থাকে।পরে নাসরিন ও তার স্বামী সাইফুলই সব কথা ফাঁস করে খায়রুলের কাছে ১০ হাজার টাকাও নেয়।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মিমাংসার নামে দুই মাস সময় অতিবাহিত করেন। বার বার বৈঠক করেও ২৭ জুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
ছাত্রীর পরিবার তাতে রাজি না হওয়ায় পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মহিলা মেম্বরের কাছে জানতে চাই সে জানায়,এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা, চেয়ারম্যান শালিসি করছে তাকে জিগ্যেস করেন।মেয়েটি কে থানায় না পাঠিয়ে শালিসি করার ব্যপারে জানতে চাইলে সে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
মামলার বিষয়টি ওসি মো.কামরুজ্জামান তালুকদার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন একটি ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা করা বা কাল ক্ষেপন করা বেআইনী। ভিকটিমকে মেডিকেল করানোর জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।