প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০১৯ , ৩:২৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর যশোরের শেখহাটী বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আনুমানিক দুই কোটি টাকার বীজ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। এই বীজ কোথা থেকে আসলো তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকার বীজের উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে বিএডিসি’র কর্মকর্তারা। বিএডিসির যশোর কেন্দ্রের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের এক চিঠির মাধ্যমে অতিরিক্ত এই বীজের মজুদের কথা বিএডিসি’র সদস্য পরিচালককে অবহিত করেন। চিঠিতে বলা হয় যশোরের শেখহাটি বীজ গুদামে এ সব বীজ বিধি বহির্ভূত ভাবে সংরক্ষন করা হচ্ছে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন এবং বর্তমান বাজার মুল্য দুই কোটি টাকার উপরে বলে জান। এই চিঠি পেয়ে নড়ে চড়ে বসেন বিএডিসির কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার বিএডিসির এজিএম নরুল সরদার ও অতিরিক্ত মহাব্যাবস্থা পক (খামার) তপন কুমার আইচ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করে তথ্য নিতে থাকেন। পরিদর্শনকালে তারা এই বীজ দত্তনগরের তিনটি খামার থেকে বিধি বহির্ভুতভাবে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পারেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে দত্তনগরের পাথিলা ও গোকুলনগরসহ তিনটি বীজ উৎপাদন খামার থেকে চাহিদার বিপরীতে প্রায় দেড়’শ মেট্রিক টন এসএল-৮ এইচ জাতের হাইব্রীড ধানের বীজ বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে। শেখহাটী বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সহায়তায় এই বীজ বিক্রির টাকা সংশ্লিষ্ট ৩ খামার ব্যাবস্থা পকরা পকেট¯’ করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিএডিসি কর্মকর্তাদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিএডিসির এজিএম নরুল সরদার ও অতিরিক্ত মহাব্যাবস্থা পক (খামার) তপন কুমার আইচ বুধবার পর্যন্ত ঝিনাইদহের দত্তনগর কৃষি খামারে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত মহাব্যাবস্থা পক (খামার) তপন কুমার আইচ বুধবার সকালে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে আজকের তালাশকে বলেন, গত ২২ আগষ্ট ১১৪ নং স্মারকে একটি চিঠি দিয়ে ঝিনাইদহের দত্তনগর খামার ব্যবস্থাপকদের অতিরিক্ত বীজের মজুদের বিষয়টি জানাতে বলা হয়। বিষয়টি এখনো তদন্তনাধীন বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) ড. শেখ হারুনুর রশিদ আহমদ (মোবাইল-০১৯৯৮৭৭০০০২) নম্বরে কল করে এ বিষয়ে সর্বশেষ তার মতামত জানতে চাইলে উক্ত ব্যক্তির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।