প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২১ , ১:৩৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সচল রয়েছে কৃষিকাজ। কৃষকের নিরলস পরিশ্রম, প্রযুক্তির ব্যবহারে চাষাবাদ এবং মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এনেছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে কৃষককে কৃষি কাজে আগ্রহী করে তুলতে সরকারি প্রণোদনা, বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান, কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ, উঠান বৈঠকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা, ক্ষতিকর পোকা নিধনে কীট নাশকের ব্যবহার, মিষ্টি পানি সংরক্ষণে স্লুইজ গেট নিয়ন্ত্রণ ও পুকুর খনন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কৃষিতে এমন সফলতা পেয়েছে কৃষক-এমনটাই দাবি স্থানীয় কৃষি বিভাগের।
জানা যায়, গত কয়েক বছরে ফসল চাষে কৃষকের সফলতা ও স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প প্রভাব ফেলেছে স্থানীয় বেকার যুবকদের মাঝে। মান্ধাতার আমলের গরু-মহিষের হাল চাষ হ্রাস পেয়ে চাষাবাদে যুক্ত হয়েছে ট্রাক্টর, হারভেস্টরসহ নানাবিধ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠছে কৃষি ফার্ম। এতে বেকারত্ব হ্রাস পেয়ে বাড়ছে কৃষি উৎপাদন এবং সচল হচ্ছে অর্থনীতির চাকা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বোরো হাইব্রিড জাতের ধান, উফশী জাতের আউশ ধান, স্থানীয় জাতের ধান, উফশী জাতের আমন, স্থানীয় জাতের আমন ধান, গম, ভুট্টা, আখ, আলু, মিষ্টি, আল, ডাল জাতীয় ফসল মুগ, মসুর, খেসারিসহ বিভিন্ন ফসল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে।
ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক আউয়াল হাওলাদার বলেন, গরু-মহিষের হাল চাষের বদলে কৃষিকাজে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টর, রাইস ট্রান্স প্লান্টার, কম্বাইন হারভেস্টর এবং রাইস অ্যান্ড হুইট রিপার। চম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষক বিজয় সরকার বলেন, কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠক ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেয়ে এখন সবাই বেকার না থেকে চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ. মন্নান বলেন, কৃষিতে সাফল্য অর্জনে কৃষি বিভাগ সর্বদা মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশে থেকে সঠিক পরামর্শ প্রদান করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সুয়োগ-সুবিধার কারণে এলাকায় কৃষি ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।