প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২২ , ১০:৪৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
হিজলা প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলায় এক মৃত্যু নারীর লাশ নিয়ে স্বামী ও বাবা বাড়ির পরিবারের লোকজনের মাঝে টানা হেছড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় সে নারী কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক গ্রামের মানিক সিকদারের মেয়ে পারভীন বেগম।সে একই গ্রামের পার্শ্ববতি এলাকায় মকবুল সরদারের ছেলে আক্তারের আক্তার সরদারের স্ত্রী। মৃত্যু নারী ৩ কন্যা সন্তানের মা ।তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।তখন ঐ নারীর লাশ হিজলা উপজেলার গোলেরহাট নামক বাজারে আসলে উভয় পরিবারের লোকজন জড়ো হয়।তারা লাশবাহী গাড়ি পথরোধ করে উভয় পক্ষ হাতাহাতি শুরু হয়।
একপর্যায়ে হিজলা থানা পুলিশ এসে স্বামীর অনুপস্তিত থাকায় লাশ বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়।
মৃত্যু নারীর মা কল্পনা বেগম জানায়, তার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।গত কয়েক বছর যাবৎ পুত্র সন্তান হয়না বলে অমানষিক নির্যাতন করে আসছে তার জামাতা।তারা প্রতিবাদ করলে বলে মেয়ে লালন পালনের খরচ মেটাতে। এ নিয়ে কিছু দিন পরপর স্বামী তার মেয়ের উপর চরম নির্যাতন চালায়।গত বৃহস্পতিবার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে।পূনরায় পরের দিন আবার চলে যায়।মৃত্যু নারী ভাই জানায় তার বোনকে অনেক বার তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যেতে বলছে।কিন্তু মেয়ে ৩ টির কথা চিন্তা করে যায়নি।গত দুই দিন আগে নির্যাতন স্কীকার হয়ে তাদের বাড়িতে আসলে ওষুধ কিনে দেন।তিনি তার বোনের হত্যার বিচারের দাবী করেন।
এ ঘটনায় মৃত্যু নারীর মেয়ে সুরমা (১৪) জানায়, গতকাল দুপুরে হঠাৎ তার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে।তখন তার দাদী ও বাবা তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মায়ের মৃত্যু হয়। গতকাল তার বাবা তার মায়ের প্রতি কোনো নির্যাতন করা হয়নি।তবে র্পূবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথার কাটাকাটি হত।
কাজিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক আসলাম হোসেন বলেন, মেয়ে পরিবারের অভিযোগ থাকায় ঐ নারীর লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।