প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৩৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মুলাদী প্রতিবেদক॥ বরিশালের মুলাদীতে যোগদানের ১১ মাসের মাথায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। চাকরির তথ্য গোপন এবং পুলিশ প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মো. তারেক হোসেন উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের পশ্চিম চরকালেখান গ্রামের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম সরদারের ছেলে এবং চরকালেখান আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি গত ২৩ জানুয়ারি থেকে নাজিরপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশটি বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আকতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে মো. তারেক হোসেন নামে এক শিক্ষকের নিয়োগটি বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আকতারুজ্জামান বলেন, পুলিশ প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. তারেক হোসেনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তার গ্রহণকৃত সরকারি বেতনভাতা ফেরতের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশ প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. তারেক হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা কেরানীগঞ্জ পরিবেশ আদালতে একটি সিআর মামলা এবং বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার পিটিশন মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে অবিবাহিত সনদ নিয়ে বাবার পোষ্য কোটায় চাকরি নিলেও বিবাহিত বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। মো. তারেক হোসেন মামলা এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন করে পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলেও তিনি চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি ইসলামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরে গত ৮ নভেম্বর চরকালেখান গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীন মামলা ও পুলিশের প্রতিবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ আলম বলেন, ইসলামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. তারেক হোসেনের নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিস আদেশ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পেতে ওই শিক্ষক উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন। সেখানে চাকরি ফিরে না পেলে তাকে গ্রহণকৃত বেতনভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।