প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২১ , ৫:০৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক শিশুর কান থেকে তেলাপোকা বের করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। আলোচিত ওই চিকিৎসক ডা. শহীদুল ইসলাম সবুজ এখন এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন।
৩৯তম বিসিএসে যোগ দেওয়া ডা. শহীদুল ইসলাম সবুজ ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিএসএমএমইউতে উচ্চতর ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীর বাম কানের বাম কানে একটা তেলাপোকা ঢুকে যায়। বাড়িতে ওরা কানের ড্রপ দিয়ে এবং পরে নানাভাবে চেষ্টা করেও বের না করতে পেরে শুক্রবার সকাল ৮টায় লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে টেলিফোনে ডা. শহীদুল ইসলাম সবুজের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, অনেকটা অসহায় হয়েই আসেন উনারা। বেশভূষা দেখে আর্থিকভাবেও বেশ দুর্বল মনে হলো। উপজেলায় এসব ফরেন বডি বের করার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি (বিশেষ ধরনের ফরসেপ, হেড লাইট এবং নাক) না থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদেরকে এসব রোগীকে সদর হাসপাতালে রেফার করতে হয়। কিন্তু ওদের আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে আমাদের হাতে থাকা সাধারণ যন্ত্র (আর্টারি ফরসেপ) এবং মোবাইলের লাইট দিয়ে অনেক কষ্টে ফোকাস করে তেলাপোকাকে বের করে নিয়ে আসি।
কানে প্রবেশ করা জীবন্ত তেলাপোকা বের করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের একজন সম্মানিত স্যার বলতেন, তেলাপোকার ব্যাক গিয়ার নেই। একবার কানে ঢুকলে বের হতে পারে না। তাছাড়া যে সাইজের এটা, টেনে বের করতে আমারই ১০ মিনিট এর বেশি লেগেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় কমিউনিটি মেডিসিনের এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির যথাযথ ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাচ্চাকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ‘ভোকাল এনায়েস্থেসিয়া’।