প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০১৯ , ৯:৩৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে কৌশলে সাহায্য করছে পুলিশ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি সত্ত্বেও বিবাদীপক্ষ পাকা ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাদীপক্ষ।
জানা গেছে, উপজেলার হাসপাতাল সড়কের আ. লতিফ শিকদারের সঙ্গে নলছিটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক ইমাম আ. রব হাওলাদারের পুত্র মো. আল-আমিন ও তার আত্মীয়-স্বজনদের নান্দিকাঠি মৌজার (জে.এল-৪৪) এসএ ৭২, ৯২, ৯৩ ও ৫২৮ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের ১০.৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেও কোন সুরাহা হয়নি। আপোস
মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে আ. লতিফ শিকদার আদালতে মামলা দায়ের করলে গত ৬ নভেম্বর ঝালকাঠির দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বিরোধীয় জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে কৌশলে ওই বিরোধীয় জমিতে কাজ শুরু করার জন্য গত ৭ নভেম্বর মো. আল-আমিনের ভাই মো. সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ)
নলছিটি উপজেলা শাখার উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা ফিরোজ, আ. লতিফ শিকদারের
ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (লাভলু) শিকদার ও সালিশ কবির মল্লিককে আসামী করা হয়।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আদালতের আদেশ পাওয়ার পর নোটিশ জারি করে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার বলা হয়েছে। এর পরও ভবন নির্মাণ করা হলে বাদীপক্ষ চাইলে আদেশ অবমাননার অভিযোগে বিবাদীক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারে।’