প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২০ , ৫:৫৮:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নিজের নাম বলছে কখনও মিম,কখনও মিনু।হাস্পাতালের হাস্পাতালের ভর্তির রেজিস্ট্রারে বয়স উল্লেখ করা ১৭ বছর। এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারে না সে। সারা শরীরের তীব্র ব্যাথায় ক্ষনে ক্ষনে আর্তচিৎকার দিচ্ছে।মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে শেবাচিমের তৃতীয় তলায় ( ৯ নং ওয়ার্ড, ৩ নং ইউনিট) মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের অতিরিক্ত বেডে শুয়ে শুধুই কাদঁছে।বাড়ি চাদঁপুর বললেও ঠিকানা কিংবা বাবার নাম বলতে পারছে না।অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ৫ মার্চ ঢাকা থেকে আগত লঞ্চ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে নৌ- পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা।এরপর বরিশাল নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে শেবাচিমে ভর্তির ব্যাবস্থা করেন।এ সময় মেয়েটির মাথায় মারাত্মক জখম এবং সারা শরীরে আঘাতের দাগ ছিল।এ ব্যাপারে মেয়েটিকে দেখাশুনা করা প্বার্শবর্তী রোগীর স্বজনরা বলেন,ভর্তির পর থেকে মেয়েটি শুধুই কাদঁছে।তার নাম মিম ছাড়া আর কিছুই বলছে না।তার পরনে একটি কালো বোরকা ছিল রক্তমাখা।আমরা বিভিন্ন ভাবে পূরানো কাপড় সংগ্রহ করে তা পাল্টে দিয়েছি। এ ব্যাপারে নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,মেয়েটিকে উদ্ধার করে আমার ফোর্সের মাধ্যমে শেবাচিমে ভর্তি করেছি।আমি তাকে ৩ শত টাকাও দিয়েছিলাম কিন্তু মাত্র ১ শত টাকা রেখে বাকী টাকা ফেরত দিয়েছে। তিনি আরও বলেন,মেয়েটি যদি সুস্থ হয়ে বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে তাহলে আমরা তাকে অভিভাবকদের কাছে পৌছে দেব।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তর, বরিশাল অফিসের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ বলেন,মেয়েটির যাবতীয় চিকিৎসা ব্যায় আমরা বহন করব।