প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২০ , ৪:৪১:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
বরিশালে নিন্ম আয়ের ৪০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীর স্বজনদেরও খাদ্য সরবরাহ করছে বিসিসি। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘কেবল এ ৪০ হাজার নয়, যতদিন প্রয়োজন ততদিন খাবারের জোগান দেব আমরা। আর সিটি মেয়র খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন না এমন অভিযোগ এনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিনব পন্থায় অর্থ উত্তলন করছেন এক আ’লীগ নেতা। ওই নেতার দাবী বিসিসি’র পক্ষ থেকে ত্রান না দেয়ার কারনে ভবন মালিকদরে কাছ থেকে টাকা উত্তালন করে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করে অসহয় পরিবারদের মাঝে বিতরন করবেন।
সোমবার ( ১৩ এপ্রিল) নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের শাহা পরান সড়ক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা উত্তলন করেন ওই এলাকার আবু বক্কর শরীফের পুত্র জসিম শরীফ। তিনি সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক। এদিকে টাকা উত্তলনের ৪/৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আচঁকরতে পারেননি ওই সকল ভবন মালিক।
সোমবার (২০ এপ্রিল ) সকাল দশটার দিকে শাহপরান সড়ক মোল্লা গলি সম্মুখে মামুন নামে এক যুবক টাকা উত্তলনের বিষয় জানতে চেয়ে বলেন তোমরা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠলে, ত্রান দিচ্ছো না কেন। ওই যুবক আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে এলাকায় ২ বার খাদ্যসামগ্রী আসছে , প্রয়োজনে আবার আসতে পারে টাকা উত্তলন করে তা হজম করা এক ধরনের হারাম।
এদিকে বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তাদের দাবী সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মিশনে নেমেছে জসিম শরীফ। সেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তারা হলেন আবুল কালাম, ইউসুফ সিদার ,মোবারক হোসেন,আবুল হোসেন।
তিনি টাকা নিয়ে খ্যান্ত হননি সুফিয়া মনজিলের এক কেয়ারটেকার’র কাছ থেকে ১ বস্ত চাল নিয়েছেন। অবশ্য তা বিতরন করেছেন জসিম শরীফ। সোমবার (২০ এপ্রিল ) বাঘিয়া এলাকার নাম শর্ত অনিচ্ছুক একাধিক ভবন মালিক বলেন, আমার কাছে এসে বলছে বিকালে আমরা গরিব অসহয়দের মাঝে খাদ্যাসামগ্রী বিতরন করবো আপনি থাকবেন ।
অপর এক সুত্র বলছে, ত্রানের নামে টাকা হজম করার চেষ্ঠা কালে এলাকাবাসী তা জানতে পারায় জসিম শরীফ কৌশল অবলম্বন করে সোমবার (২০ এপ্রিল ) বিকালে বাঘিয়া এলাকার আব্দুল রাজ্জক খান সড়ক সম্মুখে অসহয়-দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন।
এবিষয় সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক জসিম শরীফ বলেন, ত্রান বিতরন করার জন্য টাকা উত্তলন করছি এটা সঠিক। কারো কাছে জোরকরা হয়নি সাবই ৫০০ টাকা করে দিলেও একব্যক্তি ৩০০ টাকা দিয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুফিয়া মনজিলের মালিক বিদেশ থাকার কারনে কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম’র কাছ থেকে ২৫ কেজির এক বস্ত চাল নেয়া হয়েছে ,তার সামনে বসে তা বিতরন করা হয়েছে। কেনো ভবন মালিকদের কাছ থেকে টাকা উত্তলন করে ত্রান দিতে হবে এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে এয়াপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ বিন আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
এবিষয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ত্রান প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হচ্ছে । আশা করি আল্লাহর রহমতে বাদ যাবে না কেউ ,যারা এখনো ত্রান পাননি চিন্তার কোন কারন নেই আমার কর্মীরা মাঠে আছে খোঁজ নিচ্ছেন পর্যয়ক্রমে আবার ত্রান দেয়া হবে হতাশ হবার কিছু নেই। সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক জসিম খানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা উঠাবে কেনো ? আমি এখনি দেখতাছি , এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি । অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ত্রান দেয়ার নাম করে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা চাইবে তাদের পুলিশে দিবেন।