প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৪:৩০:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এমডি রিয়াজ হোসেন,ইতালিঃ
করোনা বিধ্বস্ত ইতালির মিলানোতে গাড়ীতে আগুন দেওয়ার অপরাধে প্রবাসী বাংলাদেশী এক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে ইতালির পুলিশ।১৭ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও ফিল্যান্স সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম নাসিম এর মাধ্যমে জানা যায়
লোম্বারদিয়া বিভাগে চলমান লকডাউন রেডজোনে মরুভূমির নিস্তব্ধতার মধ্যেই এই বাংলাদেশি ক্রিমিনাল রাতের অন্ধকারে মিলানের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেশ ক’দিন ধরেই চোরাগুপ্তা স্টাইলে একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আসছিলো। অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির এই যুবকের বিরুদ্ধে ১৫টি প্রাইভেট গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে
মিলান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এপ্রিলের শুরু থেকেই রাস্তার পাশের পার্কিংয়ে রাতে একের পর এক রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে গাড়ি পুড়ে যাবার ঘটনা ঘটতে থাকলে নড়েচড়ে বসে মিলানের পুলিশ। গাড়িতে কৃত্তিমভাবে আগুন লাগানোর বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর অপরাধীকে হাতেনাতে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠে মিলান পুলিশের বিভিন্ন স্পেশাল ইউনিট। অবশেষে ১৭ এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে সম্পন্ন হয় সফল অপারেশন। সাদা পোশাকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কড়া নজরদারি বসায় মিলান পুলিশ। রাত দেড়টায় নোয়ে রোড থেকে আসা এক যুবকের হঠাৎ আনাগোনা নজরে আসে অপারেশন টিমের। বেরনিনি স্কয়ার পার হয়ে ফিলিপ্পিনো লিপ্পি রোডে ঢুকেই ঐ যুবক পার্ক করা একটি রেনাল্ট কেপচার এবং পাশের ভোলভো-৭০ গাড়িতে বারুদের বেগে আগুণ লাগিয়ে দেয় পেট্রোল ভেজা কাপড় ব্যবহার করে। সাদা পোষাকধারী পুলিশ চারদিক থেকে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়লে দৌঁড়ে পালাতে পারেনি বাংলাদেশি ‘সিরিয়াল আগুনসন্ত্রাসী’। গ্রেফতারের সময় অপরাধীর হাতে থাকা পের্টোল এবং পকেট থেকে ২টি ম্যাচলাইট উদ্ধার করে পুলিশ। একের পর এক গাড়িতে আগুন কেন লাগিয়েছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বাংলাদেশি যুবক। আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে আগুনসন্ত্রাসীর নামধাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। অবৈধভাবে বসবাসকারী এই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আগে থেকেই রোম ও মিলানের পুলিশ অফিস থেকে দুই দফায় ইতালি ছাড়ার বহিষ্কারাদেশ ছিলো বিভিন্ন অপরাধে। ১৪ মাসের কারাদন্ড মাথায় নিয়ে জামিনে বাইরে থেকে সে সর্বশেষ অপকর্মটি ঘটালো হাজার হাজার বাংলাদেশি অধ্যুষিত মিলান মহানগরে।