প্রতিনিধি ১ মে ২০২০ , ১১:৪০:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
পূর্ব শত্রুতা ও জমি বিরোধদের জের ধরে একই পরিবারের দুইজন ও চাচতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আহত পরিবার। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে এয়ারপোট থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন । এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়রের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার ২ নং কাশিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের লাকুটিয়া বাজার এলাকায়।
আহত পরিবার জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল ) বিকালে লাকুটিয়া বাজারে পরিবারে জন্য ইফতার ক্রয় করতে যায় সবুজ হাওলাদার (৩০),
এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সবুজ হাওলাদারকে দেশীও অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি মারধর শুরু করে । সবুজের ডাকচিৎকার শুনে ইব্রাহিম, চাচতো ভাই মিলন এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করে ২ নং কাশিপুর ইউনিয়নের সারশী গ্রামের মৃত আয়ুবআলী হাওলাদারের পুত্র মিরাজ ( ২৯),শাওন,নয়ন,আমজাদ হাওলাদারের পুত্র মজিবর হাওলাদার (৪০),সাজাহান ফকিরের পুত্র মিলন ফকির,জব্বার হাওলাদারের পুত্র রানা ,রাকিব, মজিবর হাওলাদারের পুত্র সুজনসহ ৯/১১ জন।
আহতরা হলেন, ৪ নং ইউনিয়নের বকশিচর গ্রামের মৃত সেকেন্দার হাওলাদারের ছেলে সুবজ হাওলাদার (৩০),ইব্রাহিম (২৮),ও মোশারেফ হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলাদার।
আহত, সুবজ হাওলাদারের মা শেফালি বেগম আজকের তালাশকে বলেন, লাকুটিয়া বাজারে পরিবারে জন্য ইফতার ক্রয় করতে যায় সবুজ। আমি আমার ছোট ছেলে ফারুক সন্ধার পরপরই সবুজকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি,এর বেশি কিছু বলতে পারবো না এই বলে সবুজের মা শেফালি বেগম মুঠোফোন কেটে দেন।
এ দিকে লাকুটিয়া বাজারের এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, আলোচিত ইমরান হত্যা মামলার আসামি ছিলেন মিরাজ। তিনি এলাকায় আবারো রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে জানা গেছে।
অপর এক সুত্র বলছে, হামলাকারীরা বিরোধী দলের হয়েও ক্ষমতাসীন দলের উপর হামলা চালিয়েছে জানান আহত পরিবার।
এ বিষয় এযারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) জাহিদ বিন আলম আজকের তালাশকে বলেন, ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীরা পুলিশের টের পেয়ে দ্রুত সটকে পরেছে। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হামলার বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা আজকের তালাশকে বলেন, গ্রাম পুলিশকে বলা হয়েছে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই করার জন্য।