প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ৭:৪৬:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজের দুর্নীতি ফাস তদন্তে দুদক ভোলা জেলার অতিরিক্ত দায়েত্বে থাকা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজের দুর্নীতি ফাস।তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়া দলিল রেকর্ড জালিয়াতি করে বিপুর অর্থের মালিক হয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ সিরাজ।তাকে নিয়ে এরইমধ্যে এক ভুক্তভোগী অভিযোগও দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে।বরিশাল উজিরপুর হস্তিশুন্ড গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার সন্তান সিরাজ।তার কাছে সাধারন মানুষ আসলেই ঘুষ ছাড়া এক চুল পরিমানে সেবা পায়া যায়না তার কাছ থেকে।সিরাজুল ইসলাম’র কুকৃত্তির কারনে অনেক পরিবার এখন ভুমিহিন হয়ে পথে বসেছে।
গত কয়েক দিনে পুর্বে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা সহ একধীক সংবাদ মাধ্যমে এই দুর্নীতিবাজ সিরাজের দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে ভোলার বেরহানউদ্দিন জব্বার মিয়া বাড়ীর প্রায় ৭০শতক জমি টাকা খেয়ে অন্যের নামে রেকর্ড দেয় এইসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজ।অপর দিকে নিজ জন্ম ভুমির মানুষেদের সাথেও প্রতারনা করেছেন তিনি।বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হস্তিশুন্ড এলাকার বাসিন্ধা ভুক্তভুগী আলহাজ্ব নাঈম হোসেন জানায় তাদের জমি(৩০)ধারা চলমান অবস্থায় উজিরপুর জোনের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পরমেশ চাকমা দলিল পর্যবেক্ষন করে তারই প্রেখিতে আমাদের পক্ষে হস্তিশুন্ড মৌজার(৫৪)জেল নং দাগ নং(৩১৫)রায় প্রদান করেন।
ওই জমিতে(৫৪)ধারা বহাল থাকা কালিন অবস্থায় কিছু দিন পরে তৎকালিন সময়ে ওই মামলাটি সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজ ভোলা-বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত থাকার সুবাদে বিপুল টাকার বিনিময়ে আলহাজ্ব নাঈম হোসেনদের প্রতিপক্ষ মো: আবদুল রশিদ গং দের নামে রেকর্ড বা নাম জারি করে রায় পাইয়ে দেয়। তেমনি একটি ঘটনার সৃষ্টি করেছেন সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজ ভোলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ভোলা বোরহানউদ্দিনে মিয়া বাড়ীর ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।এমনকি টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমিও করে দেয়া হয়েছে কয়েকজনের নামে।
এমন অসংখ্য ঘটনার নেপথ্যে সেখানকার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজুল ইসলাম। অভিযোগ, টাকা ছাড়া এক চুলও নড়েন না তিনি। অভিযোগ রয়েছে তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে ঢাকায়-বরিশালের উজিরপুরে জমি রেকর্ড করেছেন দুর্নীতিবাজ সেটেলমেন্ট অফিসার সিরাজ।অভিযোগের ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম বলেন এখানে সবকিছুই হয় নিয়মের মধ্যে থেকে আইন মেনে।এখানে আইন ছারা কোন কাজ হয়না।সুত্রে জানা গেছে সিরাজুল ইসলাম এবছরে শুরুতে বদলী হন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে তবে এখনো রয়ে গেছেন অতিরিক্ত দায়েত্বে।তার এই প্রভাব ভাইরাসের মত বিস্তার না ঘটে তাই তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনে প্রশাসশনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভুগীরা।