প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৯:৫৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি গলাচিপা, পটুয়াখালী :- পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঠান্ডাজনিত সর্দিকাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।রাঙ্গাবালি ও গলাচিপা দুই উপজেলার মানুষের জন্য রয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল।আবার হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যা রোগীর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে খুবই নগণ্য ।সমস্যা এখানেই শেষ নয় দীর্ঘদিনের পুরনো ও জরাজীর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। উপজেলায় প্রতিদিন মা, শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত একশ এর উপরে মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।করোনা কালীন সময়কে সামনে রেখে সকলকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া ও সম্ভব হচ্ছে না।হাসপাতালে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৫থেকে ৩০জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। শয্যা না থাকায় অধিকাংশ রোগীর জায়গা হয়েছে বারান্দা বা করিডোরে।
এদিকে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী আসায় তাদের চিকিৎসা দিতে ও হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের।হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মোঃ কামাল হোসেন বলেন আমার ছেলের বয়স তিন বছর ,গত তিন চার দিন ধরে ছেলের জর ও কাশি হওয়ায় বাসায় বসেই চিকিৎসা নিয়ে কিছু ঔষধ দিয়েছিলাম কিন্তু তাতে তেমন কোন উন্নতি না দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার ছেলেকে কিছু রক্ত পরিক্ষা দিলে নিউমোনিয়া ধরা পড়লে হাসপাতালে ভর্তি দেয় কিন্তু ছেলেটাকে নিয়ে আমাকে থাকতে হচ্ছে ফ্লোরে, এমনিতেই চারিদিকে করোনা মনের ভিতরেও ভয় তারপর হাসপাতালের আসে পাশে ও মানুষ ভরা কি করব জানি না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মেজবাহউদ্দিন বলেন গতকয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে বেশির ভাগ রোগী আসে এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু দুই উপজেলার মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে তাই দেখা যায় প্রতিদিনই কিছুনা কিছু রোগীকে এখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয় কারণ তাঁদেরকে বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। এখন চারিদিকে করোনা সময়টা ও খারাপ আমাদের হাসপাতালে ও জায়গা কম তাই বলে মুমূর্ষু রোগীদেরকে হাসপাতালে ভর্তি না করে তো আর চিকিৎসাও দেয়া জাবে না ।অনেক রোগীকেই মেজের ফ্লোরে, বারান্দায় বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগীর চাপে কোনো ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যা অনুযায়ী রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।
তারপরও আমরা চেষ্টা করছি এ সীমিত ব্যবস্থার মধ্যে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন যেহেতু গলাচিপা ও রাঙ্গাবালি দুই উপজেলার মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে সেহেতু রোগীর চাপ একটু বেশিই থাকে তারপরও গত কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার রোগী একটু বেশি হওয়াতে রোগীদেরকে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের ভিতর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না তারপর ও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।