প্রতিনিধি ৭ মে ২০২১ , ১১:৫৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :: বরিশাল মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন পথচারিরা । চিকিৎসাকেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মাসে অন্তত ২০০ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে। এর ভিতরে একজন সংবাদ কর্মীও রয়েছে।
জানা গেছে, আহত লোকজন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় অথবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না নেওয়ায় আহতদের মধ্যে অনেকে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বরিশাল সদর হাসপাতালের সূত্রে জানা জায়, গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত এক মাসে কুকুরের কামড়ে আহত অন্তত ২০০ ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত ২৯ এপ্রিল সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডে পর্যালচনা করে জানা যায় প্রতিটি রাস্তার মোরে পাল বেধে বেওয়ারিস কুকুর ঘোরা ফেরা করে। দিনে বেসি উৎপাত না করলেও রাতের চলাচল করাটা কষ্ট সাধ্য হয়ে ওঠে। গত মার্চে এক সংবাদকর্মী অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে বিসিসির ৬নং ওয়ার্ড টিবির মাঠের কাছে পৌঁছতেই রাস্তার পাসে সুয়ে থাকা একটি কুকুর তার পায়ে কামর দিয়ে ধরে। প্রায় ৫ মিনিট চেষ্টার পরে কুকুরটির মাথায় আঘাত করায় ছেরে দেয় তাকে । তারপরো আবার আক্রমণের চেষ্টা করে কুকুরটি।
গত ২৮ এপ্রিল রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যাচ্ছিলেন সোহেল, বিএম কলেজ পার হয়ে খালের কাছে জেতেই একটি কুকুর আক্রমণ করেন তার উপর । তিনি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাইসাইকেল নিয়ে খালের ভিতরে পরে যায়, এতে ১ টি হাত ভেঙ্গে জায় তার। ১ মেয়ে মায়ের অসুস্থতার কারনে বের হওয়াটাই কাল ছিলো মনিরের।
জেলখানার মোড়ে একটি দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে হোন্ডা জোগে বাসায় জাচ্ছিলেন তিনি নাজিরের পোলের ঢালে পৌঁছতেই কামর দেয়ার চেষ্টা করে ৪/৫ টি কুকুর। এতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পোলের সাথে ধাক্কা লেগে হোন্ডা সহ রাস্তায় পরে জান মনির। তারপরো শেষ রক্ষা হয়নি তার পায়ে কামর দেয় একটি কুকুর। বিষয়টি দেখে লাঠি নিয়ে দৌরে জান এক পথচারি পরে পালিয়ে জায় কুকুর গুলো। ৩ মেয়ে নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড বেলতলার বাসিন্দা জলিল হোন্ডা জোগে বাসায় জাচ্ছিলেন ইসলামিয়ে কলেজ মসজিদের সামনে পৌঁছাতেই তাকে ধাওয়া করে ১ টি কুকুর। আধা কিলোমিটার দৌরে গিয়ে চলমান হোন্ডায় থাকা জলিলের পায়ে কামর দেয় কুকুরটি। ৪ মেয়ে মসজিদে ফজরের আজান দিচ্ছে বিসিসির সংলগ্ন ৩ রাস্তার সংযোগস্থলে পৌঁছায় এক্টি রিক্রা তাকে আটকে দেয় প্রায় ১০/১২ টি কুকুর। রিক্রার উপরে উঠে জায় কয়েকটি কুকুর। আরো কয়েকটি গাড়ী সময় মতো না পৌঁছলে হয়তো রিক্রা চালক্কে মেরেই ফেলতো কুকুর গুলো।
এব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।