প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ৩:১৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
মুলাদী নাজিরপুরে সরকারী খাস জমি দখল ও ভরাট করে পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ। শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভুমিদস্যু হালিম আকন ।জমির মালিকের কয়েক দফায় মামলা দায়েরসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে হালিমের বিরুদ্ধে ।অভিযোগসূত্রে জানা যায় কাওরান বাজার মশলার দোকানের কর্মচারী থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যায় আঃ হালিম। আর তার ভিলেজ পলিটিক্স এর স্বীকার হচ্ছেন গ্রামের সাধারন মানুষ।সূত্রে জানা যায়, মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের মৃত্যু তাহের আকনের পুত্র হালিম আকন ১৯৯৮ সালে কোন রকম ঢাকায় পারি জমান। প্রথমে কাওরান বাজারে রিফাত বাইনাধী ষ্টোর দোকানে ১২০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকুরী নেন।দশ বছর কাজ করার পরে ২০০৮ সালে দোকানের টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে জান তিনি । পরবর্তিতে সেই চুরি করা টাকার বলে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ইত্যাদি বানিজ্যালয় নামে মশলার দোকান দেন তিনি । এরপরে অল্প কিছুদিনের ভিতরে টাকার কুমির হয়ে ওঠেন তিনি। পরবর্তিতে কতিপয় ভুমিদস্যুদের সাথে আতাত করে ভুমিদস্যু হালিম আকন একই এলাকার মকবুল হোসেন এর জমি ও থাকার ঘরটি গ্রাস করে নেয়। মুকবুল হোসেন কে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুকমি দেন তিনি । বলেন নাজিরপুরে সব লোক কেনা তার। প্রশাসন তার হাতের মুঠোয় রাখি ।তার অত্যাচারের বিরুদ্ধে মামলার করতে গেলে মামলা দিয়ে কোন লাভ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।হোসনাবাদ মৌজার বি,এস খতিয়ান নং ৩১ ৯১, এস এ দাগ নং ২৯১৩,২৯১৪,২৯১৫, বি এস দাগ নং ৫৭৯২ এর মোট ১২ শতাংশ মকবুল হোসেনের জমির প্রায় ২ শতাধিক গাছ সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে কেটে নেয় হালিম। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন এর স্ত্রী মরিয়ম বেগম বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হালিম আকন, শাহে আলম আকন ও করম আলী সহ তিনজনকে আসামী করে ১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৩০৭/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও মুলাদী থানা পুলিশ কোন ভূমিকা নেন নি। থানা পুলিশ এসে হালিমের কাজ বন্ধ করতে বলে তারা চলে যায়। চলে যাওয়ার পরে আবার কাজ শুরু করেন। এই নিয়ে চলছে থানা পুলিশরে অবিরাম নাটক। মামলার দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও দেওয়া হয় নি কোন প্রতিবেদন। খেয়া মাঝি তাহের আকনের ছেলে ভুমিদস্যু আঃ হালিমের নাগাল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে মরিয়ম বেগম এর পরিবার।
মামলার কোনো সুরহা না হতেই একই দাগের সরকারী খাস জমি দখল ও ভরাট করে আরো ৮ শতাংশ জমি দখল করে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে হালিম । এঘটনায় ফৌ: কা: বি : আইনের ১৪৫ ধারায় আবার মামলা দায়ের করা হয় ।
জানাজায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কর্মিদের সাথে নিয়ে সকল অপকর্ম চালিয়ে জাচ্ছেন তিনি । মকবুলের পরিবারের পাশে যারা ছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন তিনি । পুলিশ মামলার তদন্ত করলে কোনো প্রমান না পাওয়ায় মামলা ক্লোজ করে দেন ।তারপরেও কমেনি হালিমের ক্ষমতার দাপট নানা ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন তিনি ।
নাজিরপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে খাস জমিতে পাকা ঘর নির্মান কাজে বাঁধা দেন তাতেও দমেনি ভুমিদস্যু হালিম আকন ।
এবিষয়ে হালিমের কাছে মুঠোফোনে সত্তোতা জানতে চাইলে অভিযোগ অসিকার করে ফোন কেটে দেন। পরবর্তিতে আজকের তালাশের সাংবাদিককে ফোন করে মামলায় হয়রানি করার হুমকি দেয় । এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দীয়েরের প্রস্তুতি চলছে ।
————————
হালিমের আরো অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে আসছে ৩য় পর্ব……
————————