প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২১ , ২:৪৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
অতিথি প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বেলতলা ফেরীঘাট থেকে গিলাতলী যাওয়ার একমাত্র ব্রীজটি নদীর পানির চাপে ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা ব্রীজটি রক্ষার্থে ভাঙা অংশে ইট ফেলে প্রাথমিক ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির চাপ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে যে কোন সময় নদীগর্ভে চরে যেতে পারে ব্রীজটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানির চাপে গিলাতলী ব্রীজটির দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্রীজটি রক্ষার্থে দুই পাশেই ইট দিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করেছেন। আরো জানা গেছে, চলতি বছর মে মাসে ভারতের উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানলেও তার প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তখন চরমোনাই ইউনিয়নের ৩৩ কিলোমিটার সড়ক ও প্রায় ৪টি ব্রীজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় ইমরান ফরাজী জানান, দুই বছর পূর্বে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪৪ টাকা টাকা ব্যয়ে নদীর পাড় ঘেষে ব্রীজটি নির্মাণ করেন মেসার্স সরদার ট্রেডিং নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কীর্তনখোলা নদীর পাড় ঘেষা হওয়ায় পানির ঢেউ এবং জোয়ারের পানির চাপে ব্রীজের দুই পাশে গাইড ওয়াল ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এবং ইটভাটা মালিকদের উদ্যোগে ভাঙা অংশে ইট দিয়ে যানবাহন ও গ্রামবাসীদের চলাচলের উপযোগী করেছেন।
দ্রুতই এ সংযোগ ব্রীজটি সংস্কার করা না হলে গিলাতলী গ্রামের বাসিন্দারা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়বেন। স্থানীয় করিম রাঢ়ী বলেন, এ ব্রীজটি সংস্কার করা না হলে গিলাতলীর বাসিন্দারের প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে গ্রামে আসতে হবে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। ৫নং চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যামন সৈয়দ ইসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, গত বন্যার পর এবং মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, কালভার্ট ও বসতবাড়ির তালিকা করে সদর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে প্রেরণ করেছেন।
তবে এখনো এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত তিনি পাননি। অবশ্য প্রাথমিকভাবে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ইটদিয়ে বাধ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। বরিশাল সদর উপজেলা এলজিইডি’র উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর তালিকা করে তা এলজিইডি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন কিংবা বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ-কালভার্ট ও সড়ক সংস্কার কাজ করা হবে।