মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি গলাচিপা ।। পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভারি বৃষ্টি কারণে জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কৃষকেরা। গোলখালী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়াবাগীর জনগন পানি বন্ধি। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় তিন গ্রাম পানিতে প্লাবিত ফসল, মাঠ, খেত সহ ঘর বাড়ি। এতে বিপাকে পড়েছে গোলখালীর নলুয়াবাগীর কৃষকেরা।
নাই কোন কালভার্ড নাই কোন স্লুইস। তাই কৃষক ঘর বন্ধি হয়ে পড়েছেন। তিনটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শুধু খেতের ফসলই নষ্ট হচ্ছে না পাশাপাশি পুকুর ও ঘেরের মাছ চলে গিয়েছে এতে অনেক টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে গোলখালীর নলুয়াবাগী গ্রামের কৃষকদের। তারা গরু, ছাগল, মহিষ নিয়েও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। পশু বাহিরে বের করার কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে নলুয়াবাগী গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, আমাদের গ্রামে বছরে দুটি মৌসুমে আউশ এবং আমন ধানের চাষ হয়। কিন্তু আমাদের বীজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের আর কোন উপায় রইল না।
এ বছর মনে হয় না খেয়েই থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের মা, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি নলুয়াবাগীতে অচিরেই একটা স্লুইস গেট নির্মান ও পুরাতন খালগুলো খনন করা হলে আমরা এ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারব। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার বড় ছেলে মো. আহসান হাবীব বলেন, জন্ম থেকেই দেখেছি এ পানি প্লাবিত এলাকা।
আমাদের গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির দেখার কেউ রইল না। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ও গলাচিপা-দশমিনার জনগণের অভিভাবক সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা (সাজু)র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্বোতন কর্মকর্তার কাছে আমার আবেদন যাতে অতি দ্রুত একটা স্লুইস গেট নির্মান ও পুরাতন খালগুলো খনন করা হয়। তাহলেই আমাদের নলুয়াবাগী প্লাবণের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকায় সাধারণ মানুষদের সংসার চালাতে একটাই ভরষা শুধু কৃষি কাজ করা এবং মাছ চাষ করা। এ বিষয় গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগীর ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের দুঃখ দূর্দশার শেষ রইল না। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের দক্ষিনাঞ্চলের রূপকার গলাচিপা-দশমিনা উপজেলার সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা সাজু (এমপি) ও পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দের সহযোগিতায় যদি আমাদের গোলখালী ইউনিয়নের একটি অংশ নলুয়াবাগীতে স্লুইস গেট নির্মান, কালভার্ট তৈরি ও পুরাতন খালগুলো খনন করা হয় তাহলে এ এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে।