প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২১ , ১:৫০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
নতুন কোন করারোপ ছাড়াই বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৪১৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৩শ ৬৬ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সাথে গত অর্থ বছরে ঘোষিত ৪শ ২৭ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৩শ ৪৫ টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের বিপরীতে ১শ ২১ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ৯শ ৪৮ টাকার চূড়ান্ত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সে হিসেবে গত অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ২৮.৫২ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে ১ নম্বর প্যানেল মেয়র গাজী নাইমুল হোসেন লিটু এই বাজেট ঘোষনা করেন।
ঘোষিত বাজেটে নিজস্ব বিভিন্ন উৎস্য থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১শ ১৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ২২ টাকা।
সরকারি অনুদান (রাজস্ব) ৯ কোটি ৮১ লাখ ১ হাজার ৯শ ৬০ টাকা, সরকারি থোক বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা এবং সরকারি বিশেষ অনুদান ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
এছাড়া সরকারি ও দাতা সংস্থার সাহায্য হিসেবে ২শ ১১ কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার ৪শ ৩১ টাকা ধরা হয়েছে।
বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাস্তা-ড্রেন-ব্রীজ-কালভার্ট, পুকুর ও খাল সংরক্ষন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬৪ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৯শ ৯৮ টাকা, করোনা মোকাবেলায় ৬ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা, পানি-বিদ্যুত ও পরিবহন খাতে ১৯ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯শ ৪৮ টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও আনুতোষিকসহ ৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর সড়ক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, ২৬১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর সকল খাল পুনরুদ্ধার, খনন ও সংরক্ষন এবং ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর সকল সড়কের পাশে স্মার্ট কন্ট্রোল বেস্ড এলইডি সড়ক বাতি স্থাপনের ৩টি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া আছে বলে মেয়র জানান।
এগুলো সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলো পাশ হলে নগরীর চেহারা পাল্টে যাবে বলে তিনি আশা করেন। নগরীর উন্নয়নে তিনি নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেন।
ভার্চুয়াল বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সরকারি কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এটি ছিলো ১৯তম বাজেট এবং মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বধীন পরিষদের তৃতীয় বাজেট।