Uncategorized

অবৈধ ড্রেজার নির্ভর বালুখেকোদের বিরুদ্ধে বরিশালে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

  প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২০ , ৭:০১:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক::

বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান’র একের পর সফল অভিযানে বন্ধ হয়েছে কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন।

বিশেষ করে অভিযানের সময় বালু খেকো চক্রের ড্রেজার পুড়িয়ে ধংস করে দেওয়া এবং জেল জরিমানা করায় নিয়ন্ত্রনে এসেছে কীর্তনখোলা নদী ও আশপাশ এলাকা।

একইসাথে অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এবং উপরমহলের চেষ্টা তৎবিরে ব্যর্থ হয়ে অন্য অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরাও আত্মগোপনে চলে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে এ প্রতিবেদককে। এদিকে প্রশাসনের এই উদ্যেগে’র কারনে কীর্তনখোলা নদীর তীরের মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তাদের ধারনা অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে নদীর তীর ভাঙবে না।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারহাট গ্রামের নোমোরহাট বাজার সংলগ্ন বরিশাল টু বুখাইনগর খাল থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি অসাধু চক্র অবৈধ ড্রেজার দিয়ে রাতের বেলায় বালু উত্তোলন করে আসতেছিল। এর ফলে উক্ত এলাকায় অনেক ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ জুলাই’২০ বিকেল ৪ টায় বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান টিম সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ট্রলার নিয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারটি জব্দ করেন। প্রশাসনের আগমন টের পেয়ে ড্রেজার এর মালিক পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা ড্রেজারের মালিকের নাম বা পরিচয় বলতে না পারায় তাতক্ষনিক ভাবে বেনামি ড্রেজারটির পাইপ ও মেশিন ধ্বংস করেন এসিল্যান্ড। প্রশাসনের এই অভিযানে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেন ও সাধুবাদ জানান। এর আগেও

সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নেরর ২ নং ওয়ার্ডের মজি হাওলাদার বাড়ী বাস স্টান্ড সংলগ্ন বরিশাল-বাউফল মহাসড়কের পাশে একটি খননকৃত পুকুর থেকে আত্মঘাতী ড্রেজার ড্রাম পাইপ (ড্রেজার মেশিন) এর মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল ছাএলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া অসাদু বালু চক্র জহিরুল
ওরফে জহির।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান’ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে উপস্থিত জনতার মাঝে পুকুর মালিক ও এই বালু উত্তোলনের মূল সহযোগী লিটন হাওলাদার পিতাঃ মোঃ রেকায়েত হাং কে ১০,০০০/- টাকা এবং ড্রেজার মালিক কথিত ছাএলীগ নেতা জহিরকে ১০,০০০/- টাকা জরিমানা করেন।

সাথে সাথে সকল পাইপ সমূহকে ধবংস করার নির্দেশ দেন। এ প্রতিবেদককে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু অবৈধ ড্রেজারগুলোর কারনে রাষ্ট্রের এবং জনগণের ক্ষতিসাধন হচ্ছে তাই এই অবৈধ ড্রেজারগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ।

আরও খবর

Sponsered content