প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২২ , ১২:৫৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
এস আল-আমিন খাঁন, পটুয়াখালী॥ সদর উপজেলার ২ নং বদরপুর ইউনিয়নের পুর্ব হকতুল্লাহ গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ চোখের সামনে গোডাউন ঘর ও কুটার কুড়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত রবিবার এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাহার নাম্বার (SL-2027). অভিযোগকারী হলেন মোসাঃ মাজেদা বেগম (৫৫), স্বামীঃ মজিবুর রহমান তালুকদার।
অভিযোগ সুত্রে বিবাদীরা হলো, (১). মাসুদ তালুকদার (৪৫), পিতাঃ সুলতান তালুকদার, (২). আনোয়ার হোসেন তালুকদার (৩০), পিতাঃ মৃত খালেক তালুকদার, (৩), মামুন তালুকদার (২৫), পিতাঃ সবুজ তালুকদার, (৪). হাবিব মৃধা (৬০), পিতাঃ মৃত মুনসুর মৃধা, (৫). ইউসুফ তালুকদার (৫৫), পিতাঃ লালু ওরপে খালেক তালুকদার, (৬). মতলেব বিশ্বাস (৫৫), পিতাঃ মৃত হাফেজ বিশ্বাস, (৭). আজিজ তালুকদার (৬৫), পিতাঃ মৃত হোসেন তালুকদার, (৮). মনিরুজ্জামান তালুকদার (৩৫), পিতাঃ সুলতান তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মাজেদা বেগম, কট বানু, কোহিনুর বেগম সহ অন্যান্য সাক্ষীরা প্রতিবদককে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীদের সঙ্গে জমি জমার বিরোধ রয়েছে।বিবাদীগন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।ঘটনার দিন সকালে বাদী মাজেদা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র দাও, বগি, লাঠিসোটা নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তার গোডাউন ঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে ঘটনা দেখতে পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। তার ডাকচিৎকার শুনে অন্যান্য সাক্ষীরা ছুটে এসে আগুনের ঘটনা দেখতে পায়। এসময় গোডাউন ঘর ও কুটার কুড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিবাদীরা চলে যাওয়ার দৃশ্য অন্যান্য সাক্ষীরাও দেখলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে যায় বলে জানান। পরে কয়েকঘন্টা চেষ্টা করে ও শেষ রক্ষা হয়নি গোডাউনের ভিতর থাকা সকল মালামাল আসবাবপত্র ও কুটার কুড় পুড়ে ছাই হয়ে যায় এতে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও বর্তমানে বিবাদীরা ভুক্তভোগীদের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুরিয়ে মারার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মেয়ে আমেনা বেগম বলেন তার মা একা বাড়িতে বসবাস করে তার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই যে কোন মুহূর্তে প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে। আগুনে পুড়ে তাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার দাবি করেন।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য শিহাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনেছি এর আগে বিরোধী পক্ষ আগুন লাগিয়েছে ঘটনাটি এলাকায় সকলের মধ্যে আলোচিত। ভোর রাতে আগুন দেয়া হয়েছে কেবা কাহারা লাগিয়েছে সেটা আমি দেখিনি তবে ভুক্তভোগী পরিবারের মুখে শুনেছি প্রতিপক্ষ এ কাজ করছে বলে জানান।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।