প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:৫৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদকঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃদ্ধ দম্পতি’কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে কতিপয় সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাথায় একাধিক দায়ের কোপে অতিরিক্ত রক্তখরনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শেবাচিম হাসপাতালে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নলছিটি থানার, মোল্লার হাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বৈশাখীয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত দলিল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আঃজব্বার হাওলাদার (৯৫) ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগম(৬৫) কে সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে মৃত কাদের হাং এর ৫ ছেলে ও দুই মেয়ে । গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ৮ টায় শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শেবাচিম সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধ আঃজব্বার হাওলাদার ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের মাথায় একাধিক কোপ ও চোখে, হাতে এবং পিঠে রামদার কোপের আঘাতে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে ।
গুরুতর আহত বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে মোঃরুবেল হাওলাদার জানান, তিনি ঢাকায় ছিলেন তার পিতা মাতার উপর হামলার খবর শুনে ছুটে এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি নলছিটি থানায় হামলার বিষয়টি অবহিত করলে আগে দ্রুত চিকিৎসা নেবার জন্য বলা হয়।
তিনি আরো জানান, তার আপন চাচা মৃতঃকাদের হাং এর ৫ ছেলেরা মিলে দীর্ঘদিন যাবত তাদের জমি জবর দখল করে ভোগ করে আসছে।চাচাতো ভাইদের মধ্যে কয়েকজন মাদক ব্যবসা করে অল্প সময়ে বিত্তশালী হওয়ায় থানা পুলিশ ম্যানেজ করে স্থানীয় কতিপয় নেতাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জবর দখল করে আসছে বলেও অভিযোগ করে বলেন।
গতকালকেও তার চাচাতো ভাইয়েরা তাদের বসতভিটার সিমানায় জবরদখল করতে আসলে তার পিতা বাধা দেয়াতে সংঘবদ্ধ হয়ে ৫ভাই দুই বোন দেশীয় ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।পরে প্রতিবেশী সহ আত্মীয় স্বজনরা তাদের দ্রুত শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে বলে জানান।
এদিকে হামলাকারী মৃত আঃকাদের হাং এর স্ত্রী ও ৫ছেলে হানিফ হাং,রহমান,আলাউদ্দীন হাং,দুলাল হাং, আল-আমিন হাওলাদার আত্মগোপনে চলে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হামলার ঘটনায় যাতে কোন মামলা করা না হয় তার জন্য নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে স্থানীয় চৌকিদার কেতাব আলী বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে গুরুতর আহত বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে মোঃ রুবলে হাওলাদার বলেন তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ থানায় অবিহিত করা হয়েছে। তার বাবা মায়ের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার ফলে তাদের চিকিৎসার জন্য মামলা দিতে বিলম্ব হচ্ছে।তবে তিনি এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবী জানান।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, তারা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি,তবে অভিযোগ পাওয়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।