প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২০ , ৯:০৬:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা: নাম ‘বাংলার বস’, ব্রিটিশ ফ্রিজিয়ান জাতের সাড়ে তিন বছর বয়সের কালো-সাদা রঙের ষাঁড়টির ওজন হবে প্রায় ৪০ মণ। ষাঁড়টির মালিকের ভাষ্য, মোটাতাজাকরণের কোনো ধরনের কারসাজি নেই।
একেবারে স্বাভাবিক উপায়ে খাবার খাইয়ে ‘বাংলার বস’কে বড় ও মোটাতাড়া করা হয়েছে। অনেক পরিশ্রমে ‘মীম ডেইরি ফার্মে’ বড় করে তোলা ষাঁড়টি এবার কোরবানির পশুরহাটে বিক্রির জন্য উঠানো হয়েছে। হাটে আনার পর একজন ক্রেতা ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ২২ লাখ টাকা।
সোমবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর স্থায়ী সবচেয়ে বড় পশুরহাট গাবতলীতে ‘বাংলার বস’কে আনা হয় যশোরের মনিরামপুর হুরগাতী গ্রাম থেকে। বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন গরুটির মালিক মো. আসমত আলী।
তিনি জানান, হাটে আনার পর থেকেই ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। কেউ কেউ এসে ছবি ও ভিডিও করছেন।
আসমত আলী বলেন, আমার ফার্মের দুইজন লোক সবসময় ‘বাংলার বস’কে দেখভালো করতো। আমার সব কাজ শেষ করে এসে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করেছি গরুটিকে।
খাদ্য অভ্যাস সম্পর্কে আসমত জানান, ২৫ কেজি ভুষি দিনে দু’বার খাওয়াই। ভুষির মধ্যে থাকে ছয় কেজি কুঁড়ো, ৮ কেজি গমের ভুষি, ১০ কেজি ভুট্টার ভুষি, ৪ কেজি খৈল, ২৫০ লবণ, ২৫০ চিটাগুড়, সারাদিনে ৪০ কেজি ঘাস খাওয়ানো হয়। ষাঁড়টির নাম যশোরের ‘বাংলার বস’/ছবি: জিএম মুজিবুর
আসমত বলেন, আমার ফার্মে গাভী গরুর সঙ্গে রাখা হতো বসকে। ফার্মে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল না। গাবতলী হাটে এ কারণে ‘বাংলার বস’ এজন্য কোনো ফ্যানের ব্যবস্থা করিনি। এভাবেই গরুটিকে বড় করেছি। ষাঁড়টিকে সকাল ও বিকেলে গোসল করানো হতো। এখন হাটে এক বেলা গোসল করাই।
ওই খামারি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমার এই গরুটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু ঘোষণা করেছেন এবং তারাই ‘বাংলার বস’ নাম দিয়েছেন। আমাকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও দিয়েছেন। ৩৬-৩৮ মণ মাংস হবে। সবকিছু মিলিয়ে ওজন হবে প্রায় ৪০ মণ। ‘বাংলার বস’র মাঝখানের ৭০ ইঞ্চি আর লম্বায় সাড়ে ১০ ফুট।
বাড়িতে কেমন দাম উঠেছিল জানতে চাইলে মালিক বলেন, বাড়িতে ২৪ লাখ টাকা দাম উঠেছিল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে ব্যক্তি ‘বাংলার বস’কে কিনতে চেয়েছিল সে সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যায়। এ কারণে আর বিক্রি করা হয়নি। যশোর থেকে শুক্রবার (২৪ জুলাই) গাবতলী পশুর হাটে নিয়ে আসি। ২২ লাখ টাকায় বিক্রি করবো। এরই মধ্যে একজন ২০ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন। ২২ লাখ টাকা না পেলে ‘বাংলার বস’কে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো।