Uncategorized

ঝিনাইদহের ডিগ্রি কলেজে আই,সি,টি ব্যবহারিক পরীক্ষায় মাথা পিছু ৩০০ টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ !

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০১৯ , ২:১২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজে আই,সি,টি ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ ৩০০ টাকা ঘুষ বা ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলেজে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও আই সি টি ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ ৩০০ টাকা করে ফি হাতিয়ে নিয়েছে আইসিটি বিভাগের শিক্ষক মোঃ মোদাচ্ছের হোসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এবছর আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজে প্রায় ৫০০ জন ছাত্র ছাত্রী এইচ, এস,সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আই সি টি বিভাগের শিক্ষক মোঃ মোদাচ্ছের হোসেন প্রতি বছর এই অনিয়ম এবং দুর্নীতি করে আসছেন মর্মে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বারংবার এ ধরনের ঘটনা ঘটার পরেও আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জে এম রবিউল ইসলাম, বিষয়টি জানা সত্ত্বেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জে এম রবিউল ইসলামের কাছ থেকে এঘটনার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, আই,সি,টি ব্যবহারিক পরীক্ষায় ৩০০ টাকা ফি নেওয়ার কোন নীতিমালা নাই। যদি ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে তাহলে বিষয় টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথচ এই আলোচিত ঘটনা অত্র কলেজের সব শিক্ষকই জানেন। এ বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক, এফ রব্বানী বলেন, এ ধরনের টাকা নেওয়ার এখতিয়ার কোন শিক্ষকের নেই। কলেজ গভর্নিং বডি এবং অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন। সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যশোর শিক্ষা বোর্ড কতৃক অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মোদাচ্ছের হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার কাছে যারা প্রাইভেট পড়েন তাদের কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল নাম্বার দেবেন না এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি সবাইকে টাকা দিতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রাইভেট নয় বরং তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই ৩০০ করে টাকা নিয়েছেন। গত প্রি-টেস্ট পরীক্ষায় সকল শিক্ষার্থী পূর্বেই পরীক্ষার সকল ফিস পরিশোধ করার পরেও মোদাচ্ছের হোসেন প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার কথা বলে একটি প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নিয়েছেন এবং এই পরীক্ষা বাবদ তিনি আবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা হারে তুলেছেন এবং পরীক্ষা শেষে প্রশ্নটিও ফেরত নিয়ে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ সহ সবাই বিষয়টি জানেন কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। এেিদক আইসিটি বিভাগের শিক্ষক মোঃ মোদাচ্ছের হোসেনের এমন অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content