প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০১৯ , ১:৫৪:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশালে এক ছাত্রলীগ কর্মীর আবেদনময়ী একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। বুধবার রাতে দেওয়া স্ট্যাস্টাসটির পক্ষে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ পেয়েছে।
হুসাইন রায়হান রিফাতের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল….
প্রয়াত নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো আমিও মনে করি আওয়ামী লীগ একটি অনুভুতি, শুধুমাত্র একটি দলই নয় আওয়ামী লীগ আমার কাছে একটি অনুভুতির নাম। আমার দাদা বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আমার চাচা শহীদ রেজাউল করিম রেজা বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের নেতা এবং বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়। পরিবার থেকে পাওয়া আদর্শে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মী হিসেবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করি সেই ছোটোবেলা থেকে ।
আর এটাই হচ্ছে আমার অপরাধ একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রি মহল আমার চাচাকে হত্যা করে। সেই একই সংঘবদ্ধ কুচক্রি মহল আমার পিছনে তাড়া করছে–
চক্রান্তের শুরু ২০১৬ সালের ২৮মার্চ সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগ এর দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয় এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ৩২৬ ধারায় একটি মামলায় হয়, দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাকে সেই মামলার ২ নম্বর আসামী করা হয়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আমি ঘটনার ২ দিন আগে এবং ঘটনার দিনও বরিশাল শহরের বাইরে হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিজ বাড়িতে অবস্থান করি । পরবর্তীতে এই মামলা থেকে আমাকে বিজ্ঞ আদালত অব্যাহতি দেন।
এরপর ২০১৮ সালে ১৮ মার্চ রাত ৮ টায় জিলা স্কুল গেটে ডিবি পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে অবস্থান করে এবং এক ব্যক্তিকে তল্লাশি শুরু করে। অতঃপর সাধারণ মানুষ হিসেবে সেই ব্যক্তিকে তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ি, ইতিমধ্যে সেখানে ডিবি পুলিশের অপর একটি টিম উপস্থিত হয়। এবং তখনই উপস্থিত জনতার সামনে কালজয়ী এক নাটকের আত্মপ্রকাশ ঘটে …..। আমাকে এবং তল্লাশিকারী ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কার্যালয়ে । আমি জানি না, কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে দিবাগত রাত ৩ টায় আমাকে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে যে মামলা দায়ের করা হয় তার ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে বলে আমি জানতে পারি। এই মামলাটি জেলা দায়রা জাজ আদালতে বিচারাধীন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৩ অক্টোবর নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড এলাকায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে লোক মুখে শোনা আনুমানিক ৪-৫ টার দিকে কুপিয়ে জখম করা হয়। দুঃখজনক বিষয় যে এই ঘটনায় আমাকে অভিযোগ করা হচ্ছে এবং আমাকে কিশোর গ্যাং এর প্রধান বলা হচ্ছে! মজার বিষয় এই যে ঘটনার দিন দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বরিশালের বাইরে মুলাদী সরকারি কলেজের প্রভাষক মাহবুব হাসান শিমুলের বাবুগঞ্জের নিজ বাড়িতে তার পাখির ফার্মে অবস্থান করছিলাম! …..
তারপর ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর ছাত্রলীগের কর্মী থেকে রাতারাতি বানানো হয় “কিশোর গ্যাং এর প্রধান”। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ..।
আমার একান্ত মতামত,যদি বরিশালের রাজপথ ছেড়ে দেই, ভুলে যেতে শিখি জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু, তাহলে কি এই সংঘবদ্ধ কালো ছায়ার ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল থেকে মুক্ত পাবো?
পাওয়া যাবে কি এমন কোনো মুচলেকা?