দেশজুড়ে

প্রতিবন্ধীকে ময়লা আবর্জনা থেকে উদ্ধার করে আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করে দিলেন নলছিটির ইউএনও আশরাফুল ইসলাম

  প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০১৯ , ৪:০৪:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল অফিস :-
প্রতিবন্ধীকে ময়লা আবর্জনা থেকে উদ্ধার করে আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করে দিলেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জুপিটার।
বরিশাল ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় তিনি এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ফুটপাতের ময়লা আবর্জনায় পড়ে থাকতে দেখে ছুটে যান লোকটির কাছে। এ সময় তার দুরবস্থা দেখে প্রতিবন্ধীর মায়ের কাছে কারণ জানতে চাইলেন। মা বললেন,দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের অত কিছু ভাবার সময় কোথায়! অসহায় প্রতিবন্ধীদ কষ্ট দেখে তিনি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি টলি গাড়ি বানিয়ে দেন।
এই সমাজে এমন অনেকেই আছে যারা অসহায় গরীবদের দেখেও চোখ ঘুরিয়ে নেয়। এর আগে যখন আশরাফুল ইসলাম বাবুগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন তখন অসহায় এক বৃদ্ধকে একটি পানের দোকান বানিয়ে দিয়েছিলেন। তার বেশ কয়েকটি সুনাম রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে যা বললেন হুবুহু তার লেখাটি তুলে ধরা হলো “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও অধিকার রয়েছে একটু শান্তিতে বাঁচার। এই ব্যক্তিকে ফুটপাতে ময়লার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে অবাক হয়েছিলাম। তার মাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম এভাবে ফেলে রেখেছেন কেন?  তিনি তার অপারগতার কথা জানালেন।  দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের অত কিছু ভাবার সময় কোথায়! কিন্তু আমরা যারা দায়িত্বশীল তাদের তো ভাবতেই হবে। সেকারণেই এই ট্রলিটা বানিয়ে দিলাম। সাথে তোশক ও বালিশ কিনে দিলাম।  একটু আরামে থাকুক মানুষটা” (স্ট্যাটাসটি শেষ হলো)।
অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশী সমাজের বিত্তবানদের যাকাত বন্টনে ওই সকল অসহায় মানুষদের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত।
সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আবেদন- যেন ভুলে না যান দিকভ্রান্ত পথহারা শিশু-কিশোর ছেলে মেয়েদের। ভুলে না যান পাড়া প্রতিবেশি গরিব-দুঃখী অভাবি লোকদের কথা। যাদের পোশাকতো দূরের কথা খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
আসুন আমরা এদের পাশে দাঁড়াই। সাধ্যমতো জামা কাপড় কিনে দেই। নিজেদের যাকাতের টাকা হতে চাল, ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দেই। যাতে সমাজের অসহায় মানুষ গুলো অন্তত একটু ভালোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content