প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০১৯ , ৯:২৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ইতালি প্রতিনিধিঃ
ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কয়েক হাজার পাসপোর্ট বিভিন্ন অজুহাতে আটকা রয়েছে।এ নিয়ে দূতাবাসের কাছে ভুক্তভোগীরা ধন্না দিলেও কোন সুরহা হচ্ছে না।সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সামনে প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতায় তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু। বক্তব্য শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার। তিনি দশ হাজার পাসপোর্ট নয় অনেক কম রয়েছে তবে কত পাসপোর্ট আটকা আছে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। কমিউনিটি নেতার বক্তব্য থামিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত। তার এমন আচরনে ক্ষুব্ধ হন উপস্থিত কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। এ দিকে বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন আমি বলেছি ইতালিতে প্রায় দশ হাজার লোক পাসপোর্ট সমস্যায় রয়েছে। রাষ্ট্রদূত সেই বক্তব্য ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। যে দূতাবাস আট লক্ষ ইউরো দিয়ে দূতাবাসের ভবন কিনতে পারে সেই দূতাবাস দুইশো ইউরো দিয়ে ফটোষ্টাট মেশিন কিনতে পারে না। শীঘ্রই দূতাবাসের সামনে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমাবেশ করা হবে। বাংলাদেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন কোন জগৎে বাস করি দূতাবাস ক্রয়ের অর্থ জনগনের অর্থ সেই অর্থ কোথায় কি ভাবে কত খরচ হল তা আমরা জানতে পারি নায়। দূতাবাসে একটি দালাল চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। আমি একজন প্রবাসী হিসাবে আমার জানার অধিকার রয়েছে এবং প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। দূতাবাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ করা হয় ৪১৭টি, আবেদন গ্রহণ শেষে দূতাবাস ৪১৭টি পাসপোর্টই প্রদান করে। এরপর ২০১৫ সালে পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭৫৪টি, প্রদান করা হয় ২৫ হাজার ৬৩৭টি। ২০১৬ সালে জমা আবেদন জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯০৮টি, প্রদান করা হয় ১৬ হাজার ৯৯৮টি। ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৯৮৬টি পাসপোর্ট, প্রদান করা হয় ১০ হাজার ৫৪০টি পাসপোর্ট। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭৮৬টি আবেদন জমা পড়ে, তার বিপরীতে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯৬৭টি।সর্বশেষ ২০১৯-এর অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫৮৭টি আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪৫৬টি পাসপোর্ট। তথ্য পরিবর্তনের কারণে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৭৮২টি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পেইন্ডিং আছে ৯২০টি পাসপোর্ট। সব মিলিয়ে ১৭০২টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। এসব পাসপোর্ট আবেদনকারীদের বেশিরভাগের বিষয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। তবে একাধিক প্রবাসী জানান আমাদের পাসপোর্ট দূতাবাসে দীর্ঘদিন পরে থাকায় আমরা এখানকার লিগ্যালেটি হারাতে বসেছি। দূতাবাস জানিয়েছে, ১০ হাজার পাসপোর্ট নয়, রোম দূতাবাসে আটকে আছে ১৭০২টি পাসপোর্ট।