প্রতিনিধি ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৬:৪৯:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
মুলাদীতে বেপরোয়া ভাবে ট্রাকের ধাক্কায় ৪ টি মটর সাইকেল ভস্মীভুত ও অল্পের জন্য বহু জীবন রক্ষা পেয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থান সূত্র জানা যায় ২৫
আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকার সময় মুলাদী মামুন সিনেমা হল রোড এলাকায় এ দুঘর্টনা ঘটে।
এ দুঘর্টনায় প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান মুলাদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু সহ তার দলীয় নেতাকর্মীদের কে নিয়ে
প্রোগ্রামের উদ্যোশে তিনি সহ তার সফর সঙ্গী প্রায় ২০/২৫টি মাটর সাইকেল যোগে যাওয়ার পথে দুপুর ২ টায় মুলাদী মামুন সিনেমা হল রোডের সামনে বেপরোয়া ভাবে একটি ট্টাক চালিয়ে গাড়ী বহরের ৪ টি মটর সাইকেল ট্রাকের নিচে পরে, এবং অল্পের জন্য বেচে যায় কয়েকটি প্রান। দূর্মরে মূচরে যায় মোটরসাইকেল গুলে। দুর্ঘটনার পরে ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ার পথে জনগনের হাত আটক হয়।
পরে উত্তেজিত পথচারীরা ট্রাকের চালককে উত্তম মাধ্যম দিতে গেলে উপজেলা
চেয়ারম্যান তাকে রক্ষা করে এবং মুলাদী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে ট্রাক
সহ ড্রাইভারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান। ঘটনার ২ দিন পরে বিভিন্ন পত্রিকায়
ও অনলাইন পোর্টালে শিরোনাম আসে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার সংবাদ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে আলমগীর নামক পথচারী অতি উৎসাহীত হয়ে দুর্ঘটনার
বিষয় অনুধাবন না করে আনন্দের সহিত দুর্ঘটনার ভিডিও ধারন করিতে ছিল।
আলমগীর ভিডিও ধারন করা উত্তেজিত জনগন দেখে ফেললে তাৎক্ষনিক উপজেলা
চেয়ারম্যান আলমগীরকে রক্ষার্থে ধমক দিয়ে তার মোবাইলটি নিয়ে পাশে থাকা
মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারে মালিকের ছেলে আসাদুলের কাছে মোবাইলটি রেখে দেন
এবং গত ২৬/০৮/২০২০ তারিখে আসাদুল তার মামা রেজা হাওলাদার মাধ্যমে
মোবাইলটি হস্তান্তর করেন।
এবিষয়ে পথচারী আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোবাইল নিয়ে ঘটনা সেই মোবাইল টি কোন সাংবাদিকের নয় মোবাইলটি আমার,
আমি তাৎক্ষনিক দুঘর্টনা সম্পর্কে অবগত না হয়ে ভুল বসত ভিডিও করি যা আমার ঠিক
হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে ভুল ধরিয়ে দেয়। যেহেতু বড় ধরনের
এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমার ভিডিও ধারন করা চেষ্টা ঠিক হয়নি। পরবর্তীতে
আমি আমার মোবাইলটি মনিকা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের ছেলে আসাদুল ও রেজা মামার উপস্হিতিতে মোবাইল নিয়ে আসি।
উক্ত মোবাইলের বিষয় নিয়ে হিজলার উপজেলার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী
সেলিম রাঢ়ী নামে ব্যাক্তির সাথে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ত নাই, তাই এই বিষয় নিয়ে আমাকে অথবা কাউকে কোনো ধরনের অপমান বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।
এ বিষয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকে ঘার ধাক্কা দিয়ে অপমান করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উক্ত এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি তাই একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা ভিত্তিহীন।
প্রকাশিত সাংবাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি
উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা যায় যে হিজলা উপজেলার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক
পথচারী সেলিম রাঢ়ী বিভিন্ন দূস্কৃতি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে লোভে বসে
সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে উপজেলা
চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠুর কাছে দুপুরের মোবাইলের তুচ্ছ
ঘর্টনার বিষয় জানতে চায় এবং উৎচোক দাবী করেন এবং মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ
করার হুমকী প্রদান করেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠু খান সাংবাদিক পরিচয়দানকারী
সেলিম রাঢ়ীর কাছে উপজেলা চেয়ারম্যান তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে সেলিম
দেখাতে পারে নি?
পরে তাকে বসিয়ে রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান বরিশালের সমকাল
পত্রিকার বুরো প্রধান পুলক চ্যাটার্জীকে বিষয়টি অবহিত করেন, প্রতি উত্তরে
পুলক চ্যাটার্জী উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেন হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের
সভাপতিকে খবর দিয়ে এনে বিষয়টি অবহিত করেন ?
হিজলা প্রেসক্লাব সভাপতি রাত
আনুমানিক ৯ টায় সময় মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিষটি
অবগত হয়ে, উপরোক্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন, পরবর্তীতে হিজলা প্রেসক্লাবের
মিটিংয়ে সেলিম রাঢ়ীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে, মুলাদী উপজেলা
চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে সেলিম রাঢ়ীকে সাথে নিয়ে চলে যান।
পরে বিভিন্ন দৈনিক ও নিউজ পোর্টালে উপজেলা চেয়ারম্যানের মান ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।