প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০১৯ , ১:৩৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
জেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আওয়ামীগের নেতা,সৌদি প্রবাসী, সরকারী চাকুরী জীবি , মাদক ব্যবসাইয়ের নামে দুস্থ মাতার কার্ড করে (ভিজিডি) চাল উত্তোলন করে আসছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে। আর যারা এই কার্ডের মাধ্যমে চাল উত্তোলন করছেন তারা হলেন নাজিরপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ বদরুল আলম মুকুল, সৌদি প্রবাসী মোঃ কামাল পাইক, সরকারী কর্মকর্তা মো: আবদুল বারেক , মাদক ব্যবসাই শিবলু খান। জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচীর আওতায় সমাজের বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থদের জন্য ২ বছর মেয়াদী একটি করে কার্ড প্রদান করা হয়। এ কার্ডের বিপরীতে প্রতি মাসে দুস্থদের ৩০ কেজি করে চাল দেয় সরকার। এদিকে তালিকা প্রণয়নের শুরুতেই নাজিরপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়াম্যান আবু হাসনাত জাপান কৌশলে নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বদরুল আলম মুকুল স্ত্রী মোসা: রাবেয়া খাতুন , ক্রমিক নং-১১১ ও সৌদি প্রবাসী মো: কামাল পাইক স্ত্রী মোসা: মাহামুদা বেগম ক্রমিক নং-১৬২, সরকারি কর্মকর্তা মো: আবদুল বারেক স্ত্রী মোসা: সাহিদা ক্রমিক নং-১৫৬, মাদক ব্যবসাই মো: শিবলু খান স্ত্রী হাজেরা বেগম জপি ক্রমিক নং-১১৫ এর নামে ভিজিডি কার্ড নেন। যা একেবারেই নিয়ম বহির্ভূত। এসব কার্ড শুধুমাত্র দুস্থদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপান এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি। সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুস্থ দেখিয়ে ভিজিডি কার্ড করেন। এই অনিয়মের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এসব বরাদ্দকৃত নামের তালিকা দেয় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। আর এসব যাচাই বাছাই করেন মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। কিন্তু উপজেলা মহিলা-বিষয়ক কর্মকর্তা খান শামিম পারভেজ অজ্ঞাত কারণে অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাকির হোসেন চুড়ান্ত তালিকা অনুমোধন করে দিয়েছেন।