প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ , ৯:১৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুরে ডিবিসি নিউজ ও খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রাজিব হোসেন রাজন ও তার স্ত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ডামুড্যা থানায় হত্যা চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। ওরআগে সোমবার সকালে তিতুমীর কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান আলমগীরের নির্দেশে তার পরিবার দ্বারা এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তিনি।
আহত সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন ডিবিসি নিউজ ও খবরের কাগজের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী ঢাকা আল্ট্রা ম্যাটসের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক।
মামালা সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর এবং তার পরিবারের সাথে। গত শুক্রবার সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে, আলমগীর ও তার স্ত্রী শান্তা ওই সাংবাদিকের অনুপস্থিতে তার স্ত্রীকে রাতে মারধর করতে যায়। পরে স্থানীয়রা উপস্থিত বাধার মুখে তারা চলে যায়। এঘটনার রেশ ধরে তার আপন ছোট ভাই বোরবান উদ্দিন পরের দিন অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরের দিন ওই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনের কাছে গালিগালাজ বিষয় জানতে চাইলে, আলমগীরের ভাই বোরহান, বাবা ইচাহাক আকন, তার বোন লিপি ও মা সেলিনা বেগম এসে আলমগীরের নির্দেশে ওই সাংবাদিক ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এ ঘটনায় রাতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডামুড্যায় থানায় হত্যা চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন বলেন, সামান্য কথাকাটির জেরে আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার স্ত্রীর ওপর
হামলা করেছে। এর প্রতিবাদ করায় ফের আলমগীর আমার ও আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে। ইতিপূর্বে তারা একইভাবে হামলা করেছিল। আমি অবিলম্বে আলমগীরের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান আলমগীরের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন ও তার স্ত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতারা।