প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২০ , ৩:১৩:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক।।
মুলাদির কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের ৫ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গত ২৫ জুন দুপুর আনুমানিক ১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হল- আঃ খালেক হাওলাদার, তার স্ত্রী ফজিলাতুননেছা, তার মেয়ে মেহনাজ, পুত্রবধূ রহিমা বেগম এবং তার ভাই ইমরান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সেখানে আঃ খালেক হাওলাদারের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মাথায় গভির জখম হয়েছে সেখানে প্রায় ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং হাতে অপারেশন করে স্টিলের পাত বসাতে হয়েছে। আহতসূত্রে জানাযায়, স্থানীয় মহিলা মেম্বর শিল্পি বেগমের অনুসারী জাকির হাওলাদার, কবির হাওলাদার গং দের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত ২৫ জুন দুপুর ১টার দিকে জাকির হাং, কবির হাং গংরা ধারালো দা এবং লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা আঃ খালেক হাওলাদারের মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয় এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় তার স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূ এবং পুত্রবধূর ভাই ইমরান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং নগদ টাকাসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার চেইন ও কানের দুল নিয়ে গেছে। আহত’র পরিবার জানায় এ ঘটনায় পরের দিন অর্থ্যাৎ ২৬ জুন ৫ জনকে নামধারী এবং ৫-৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু কাজিরহাট থানা পুলিশ রয়েছে নীরব ভূমিকায়। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে কোন অভিযানই পরিচালনা করছে না। তারা অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা স্থানীয় মেম্বর শিল্পির সেল্টারে থাকায় ৭ দিন পূর্বে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করেনি। এ বিষয়ে কাজিরহাট থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলার তদন্ত চলছে। পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর নিকট মামলা দায়েরের পরেও কি তদন্ত করে আসামি গ্রেফতার করা হয়? জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ঘটনায় আহত’র পরিবার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।