প্রতিনিধি ২৬ মার্চ ২০২০ , ৫:২৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর মাটি সোহাগঃ
সবার যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আতংক নিয়ে হলেও নিরাপদে বসবাস!! ঠিক তখন আমাদের বাচাতে, নিরাপদে রাখতে সবকিছুর উর্ধে উঠে লড়ে যাচ্ছেন আমাদের রিয়েল হিরো’স। আজকের স্বাধীনতা দিবসে সেই সব সত্যিকারের যোদ্ধাদের জানাই সালাম ও শ্রদ্ধা!!
গত বেশ কিছুদিন “কোভিট ১৯” থেকে বাঁচতে অন্যকে বাচাতে পুরো দেশবাসী গৃহবন্ধী হয়ে আছেন। হঠাৎ করে থমকে যাওয়া জীবনের গতি খুঁজতে টেলিভিশন, মোবাইল ফোনই এখন একমাত্র পাথেয়।
সারা বিশ্বে আতংক ছড়িয়ে করোনা ভাইরাস যখন আমাদের দেশে প্রবেশ করে, তারপর থেকেই পুরো জাতি এক অজানা আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
এই এক সপ্তাহ আগেও যখন দেশে স্বাভাবিক সময় চলমান ছিলো, তখন প্রতিনিয়ত প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হাজারো মানবিক মানুষ, রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতিদের কতই না আস্ফালন দেখেছি!! ঠিক তার এক সপ্তাহ পরে দেশ যখন এক অজানা আতংকে নিমজ্জিত তখন সেই মানবিক মানুষ, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতিরা এক কথায় পলাতক!! অথচ এই বিপদে তাদের উপরই ভরসা ছিলো সবচেয়ে বেশী!! উল্টোদিকে নিজেদের কথা না ভেবে, শুধুমাত্র নিজের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্বের কথা ভেবে, যে কোনো সময়ে মরন ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হবায় ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের দেশের সত্যিকারের হিরো, হাজারো চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ ভাইয়েরা।
অথচ এই ন্যাশনাল হিরোদের কোনো কাজে পান থেকে চুন খশলেই কতোনা গালি দেই, উপহাস করি!!
গত কিছুদিন নানান মাধ্যমে জেনেছি আমাদের এইসব হিরোদের দেয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় নিরাপ্ততা সামগ্রী!! বিশেষ করে চিকিৎসা সেবায় যারা জড়িত তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি শতভাগ!! এই বিশষে দেশের প্রথমসারির মিডিয়াগুলো গত কয়েকদিন সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে,যা অন্তত দুঃখজনক এবং বিপদজনক! অথচ দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক থেকে বলা হচ্ছে ঠিক তার উল্টোকথা!!
আমি আমার আগের একটি লেখায় লিখেছিলাম, যুগে যুগে বিপদেই সুপার হিরোদের জন্ম হয়েছে। হিরো হওয়ার,মানবিক হওয়ার সুযোগ সব সময় আসে না!
আসুন সবাই মিলে সুপার হিরো না হতে পারি চিন্তায়, চেতনায়, কাজে অন্তত মানবিক হওয়ার চেস্টা করি।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই না গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় পত্রিকা,টিভি মিডিয়া এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের আলোসহ কয়েকটি পত্রিকার নীতিবাচক শিরোনাম……..!!
আমরা চাই, প্রতিমুহূর্ত যেই যোদ্ধারদল আমাদের বাচিয়ে রাখতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তাদের শতভাগ নিরাপ্ততা নিশ্চিত করা হোক। কারন সৃষ্টিকর্তার পর তারাই এখন আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
স্বাধীনতা দিবসে তোমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।