প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২০ , ১১:৩৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
==========>
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের খ্রিস্টানপল্লীতে সংখ্যালঘু এক যুবকের উপর পৈচাশিক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে থেকে জানা যায় যে, একদল বখাটে সন্ত্রাসী স্থানীয় খ্রিষ্টান পল্লীতে ঈদ মূখি আমেজকে কেন্দ্র করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে শুক্রবার দুপুর ২-টা ৩০- মিনিটের সময় পাদ্রিশিবপুর গির্জা সংলগ্ন শুভ্র সড়কের মিন্টু মাস্টারের নিজ বসতি ঘরের সামনে রাস্তার উপর র্যাভেন গোমেজ, (পিতাঃ শিমন গোমেজ) কে একই এলাকার চিহ্নিত বখাটে সন্ত্রাসী মনোভাবের উগ্রবাদী মোঃ তুহিন ও মোঃ মনিরুল ইসলাম বাচ্চু পৈচাশিক প্রভাব কাটিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত করে। এসময় হামলাকারীরা উচ্চকণ্ঠে জানিয়ে দেন থানা পুলিশ করতে দেব না যদিও করতে যাস কিছুই করতে পারবি না কারণ পুলিশ প্রশাসন আমাদের পকেটেই থাকে।
পরবর্তীতে র্র্যাভেন গোমেজ দীর্ঘক্ষন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে স্থানীয় সচেতন মহল থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করলে, সাংবাদিক বিএফ খান সবুজ ও সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যাভেন গোমেজ কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই জঘন্যতম ঘটনার পরে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অবহিত করলে, তিনি ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তা আশ্বাস প্রদান করলেন। দুঃখজনক ঘটনার দুদিন হলেও এখনো কোন সুবিচার এবং নিরাপত্তা পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ও তার পরিবারবর্গ।
ইতিমধ্যে বখাটে সন্ত্রাসীদের হামলার ভূক্তভোগী পরিবারকে এলাকাছাড়া করার লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন তুহিন ও বাচ্চু বাহিনীর সহযোগীরা।
অন্যদিকে তুহিন বাচ্চু সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগী এবং অন্যতম মদদদাতা পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃজহিরুল ইসলাম সেন্টুর বড় ভাই।রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছে খ্রিস্টান পল্লী সর্বসাধারণ।
এছাড়াও সন্ত্রাসী বাচ্চু নামে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখল, যৌন হয়রানি, প্রকাশ্য চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এই জঘন্যতম বাহিনীর হুমকিতে খ্রিস্টান পল্লীর সংখ্যালঘু পরিবার আজ এলাকাছাড়া।
বর্তমানে উক্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় সর্বসাধারণ বিশ্বের মরণব্যাধি করোনাভাইরাসে লকডাউনের মধ্যে ন্যাক্কারজনক ঘটনার ন্যায় বিচার এবং নিরাপত্তা জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।