প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২০ , ৭:৪১:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন যখন সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ঠিক তখন বরিশাল নগরীতে চলছে চাঁদাবাজী। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নাম ভাঙ্গিয়ে নগরীর চৌমাথা এলাকায় আলফ-মাহিন্দ্র থেকে প্রতিমাসে চাঁদা তুলছেন খালেদ নামের এক ব্যক্তি। সূত্র জানায়, চৌমাথা থেকে নবগ্রাম রুটে প্রতিদিন প্রায় ৮০টি আলফা-মাহিন্দ্র চলাচল করে।
এসব আলফা-মাহিন্দ্র চালককে প্রতিমাসে ২৫০ থেকে ৩শ’ টাকা করে মাসোয়ার দিতে হয় খালেদকে। আর এই টাকা না দিলে তাকেই পরতে হয় রোসানলে। এমনকি চাঁদার টাকা না পেয়ে আলফা-মাহিন্দ্র চালকদের মারধরেরও ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ২/৩ দিন পূর্বে চাঁদার টাকা না পেয়ে নয়ন নামে এক অটোরিকসা চালককে বেধরক পিটিয়েছে খালেদ। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক আলফা-মাহিন্দ্র জানায়, ‘বর্তমানে করোনার জন্য আমাদের আয়-বানিজ্য নেই বললেই চলে।
অনেক কষ্টে টাকা উপার্জন করে সংসার চালাই কিন্তু খালেদকে প্রতিমাসেই চাঁদার টাকা দিতে হয়, আর যে মাসে চাঁদার টাকা না দেই সে মাসেই অনেক ঝামেলা করে, শুধু ঝামেলাই নয় ড্রাইভারদের মারধরও করে খালেদ।’ সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও থানা পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের টাকা দিতে হয়, টাকা না দিলে গাড়ি চলাচলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সোহেল (ছদ্মনাম) নামের এক গাড়ির চালক জনায়,
‘মেট্রোপুলিশকে মাসে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় আর ঝালকাঠি পুলিশকেও টাকা দিতে হয় না দিলে সার্জেন্টরা এসে ঝামেলা পাকায়। এসব কাজের জন্য মেয়র মহোদায় খালেদ ভাইকে আমাদের মধ্যে নিযুক্ত করে দিয়েছেন।’ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়রে কঠোর হুশিয়ারী আছে তার নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজী করলেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে খালেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বিকার করে বলেন, ‘আমাকে এখানের দায়িত্ব দিয়েছেন মেয়র সাহেব, এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারবো না আমি।’