Uncategorized

ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে হারুন-উর-রশীদ সিআইপি

  প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২০ , ৫:২২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

ত্যাগের মূল্যায়ণ চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :-
ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেশের বিশিষ্ঠ শিল্পপতি, ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি-কে চান তারা। আসনটিতে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে দীর্ঘ সময় ধরে অবদান রাখা এ ব্যবসায়ী নেতাকে এবার মূল্যায়ণ করার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী-ডেমরা) আসনের বার বার নির্বাচিত সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা সম্প্রতি সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। যার ফলে শূন্য আসনটির উপ-নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ।

স্থানীয়রা জানান, প্রয়াত সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার অবর্তমানে আসনটির রাজনীতিতে নানা পরিবর্তনের আভাস ফুটে উঠেছে। অন্তকোন্দলের চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করেছে। আর এখান থেকে দলকে সুসংগঠিত ও জনপ্রিয়তার বিচারেও অক্লান্ত পরিশ্রমি, সহজ-সরল, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী, খুব মিশুক আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপিকে মনোনয়ন প্রদান সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি ভালোবাসার পরম প্রতিচ্ছবি। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমী, সহজ-সরল, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী, খুব মিশুক একজন মানুষ। জীবনযাপন করেন সততার সাথে ও সাধারণভাবে। উন্নয়ন যার চিন্তা চেতনা, মানুষের ভালবাসাই তার মূলমন্ত্র ও প্রেরণা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। নিজের শ্রম, মেধা, উদার মানবিকতা, বিচক্ষণ রাজনৈতিক চিন্তাশক্তি, তুখোড় দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যিনি মিশে আছেন মাটি ও মানুষের মাঝে। এশিয়ান গ্রুপ, এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবং গুলশান প্রেস ক্লাব, ঢাকা-এর সভাপতি আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি।

দিনটা ছিলো ১৯৫২ সালের ২ এপ্রিল। আলহাজ্জ্ব ইমান আলী ও মিসেস রাবেয়া খাতুনের কোল আলোকিত করে পদ্মার বুক চিরে বয়ে যাওয়া মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জন্ম নেন আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ। ব্যক্তিগত জীবনে ৪ ভাই, ২ বোনের মধ্যে তিনি জেষ্ঠ্য এবং ৮ সন্তানের জনক। ১৯৭৪ সালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্থায়ী আবাস গড়লেও সময়ের ¯্রােতে গা ভাসিয়ে তিনি শেকড় ভুলে যাননি কখনো। চিরচেনা গ্রামকে সবসময় হৃদয়ে ধারণ করা এই মানুষটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। ওয়ার্ডে, গ্রামে, স্কুলে, মাদ্রাসায়, ঈদগাহে, বাড়ি বাড়ি যার পদচারণা; মিলাদ মাহফিল, জানাজা, সামাজিক অনুষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরে যার সরব উপস্থিতি; সেই মানুষটিকেও পরম মায়ায় কাছে টেনে নেন সবাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনপণ সংগ্রামে দেশের স্বাধীনতার রক্তিম আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে দিগি¦দিক ঘুরে বেড়ান আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি।

যখনই মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়েছে, তখনই তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। ১৯৮৮ সালে যখন বানের জলে ভাসছে গোটা দেশ, খাদ্যের অভাবে যখন দিশেহারা বানভাসী মানুষ, তখন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে অসহায় দুর্গতদের পাশে গিয়ে হাজির হয়েছেন আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। ১৯৯৮ সালের বন্যায়ও নিজেকে নিয়োজিত রাখেন মানুষের সেবায়। শুধু ত্রাণ সহায়তা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, খুলেছিলেন লঙ্গরখানাও। ২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাতে তুলে দিয়েছেন নগদ সহায়তা চেক। আর কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পাশে থেকেছেন ট্রাকে ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে। এছাড়াও ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় পবিত্র ঈদ উল ফিতর, ঈদ উল আযহা ও বিভিন্ন পৌঁষ পার্বণে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। হাড়কাঁপানো শীতে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করে থাকেন কম্বল ও শীতবস্ত্র। ২০১১ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলার দামাল ছেলেরা। মাশরাফিদের কৃতিত্বে গণভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উন্নয়নের রূপকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশে^ বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করা টাইগার বাহিনীর সবাইকে এশিয়ান টেক্সটাইলের কাপড় উপহার দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে, এসময় প্রধানমন্ত্রী’র সাথে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্জ্ব হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। তাঁর উদ্যোগে আঁধারে দিন পার করা অনেকেই আলোকিত হয়েছেন নতুন আলোয়।

আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ী নন, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের; পেয়েছেন সফলতাও। সদস্যদের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে টানা ৬ মেয়াদে পারিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘‘দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই”-এ। এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের জন্যও সাফল্যের মুকুট পড়েছেন মাথায়, টানা ১৭ বার নির্বাচিত হয়েছেন সিআইপি। বস্ত্র রপ্তানি খাতে পুরস্কার পেয়েছেন ১৬ বার। আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি এশিয়ান গ্রুপ, এশিয়ান টেলিভিশন, এশিয়ান রেডিও’র গর্বিত চেয়ারম্যান। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সদস্য, বাংলাদেশ গ্রে অ্যান্ড ফিনিশড ফেব্রিক্স মিলস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন এবং প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ টুইস্টিং মিলস এসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকোর পরিচালক এবং বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির প্রধান উপদেষ্টাও তিনি।

বাংলাদেশ সাইজিং মিলস এসোসিয়েশন-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। গুলশান সোসাইটির আজীবন সদস্য ও ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক পরিচালক ও আজীবন দাতা সদস্য। তিনি মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতি, ঢাকা’র উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্য। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক লীগের উপদেষ্টা। যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, কলমা হাফেজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাসহ বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা। যাত্রাবাড়ী ক্রীড়া চক্র ও কলমা এল.কে উচ্চ বিদ্যালয়, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ-এর উপদেষ্টা ও দাতা সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এমসিসিআই, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)-এর সম্মানিত সদস্য। এসবের পাশাপাশি তার সহায়তার হাত অব্যাহত রয়েছে অন্যান্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিম খানা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দিরে। সবশেষ সবার ভালবাসায় সিক্ত হওয়া সাদা মনের এই মানুষটি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবং গুলশান প্রেস ক্লাব, ঢাকা-এর সভাপতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্যও তিনি।
আমেরিকা, চীন, জাপান, ইতালি, তুরস্ক সহ বহুবার বহু দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সফর সঙ্গী হয়েছেন আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি।

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তির লড়াইয়ে অগ্রভাগে ছিলেন সফল এই ব্যবসায়ী নেতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করা দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি কোনো প্রলোভনে কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হননি। ইতিহাসের মহানায়কের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে গণমানুষের সেবায় সবসময়ই নিজেকে উৎসর্গ করতে চান এই মানুষটি। কখনোই শাসক নয়, হতে চেয়েছেন জনগণের সেবক। এই ব্রত নিয়েই নিরন্তর পথচলা সাধাসিধে এই মানুষটির।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথের সৈনিক নূর হোসেন শহীদ হন ১৯৮৭-এর ১০ নভেম্বর। বুকে লেখা ছিল-স্বৈরাচার নিপাত যাক, আর পিঠে লেখা ছিল-গণতন্ত্র মুক্তি পাক। তৎকালীন স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে মিছিলের পুরোভাগে থাকা নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। এরপর রাজধানীর গুলিস্থানের জিরোপয়েন্ট এলাকা পরিচিতি পায় নূর হোসেন চত্বর হিসেবে।
তবে বাংলার আকাশে স্বাধীন দেশের লাল সবুজের পতাকা উড়ানোর পর, এই জিরো পয়েন্টেই এক ভালোবাসার গল্প রচনা করেছিলেন আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। সেই ভালোবাসা কিংবা হৃদয়ের সব আবেগের কেন্দ্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধের প্রতীক ‘নৌকা’। সালটা ছিলো ১৯৭২। প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে কারিগর এনে জিরো পয়েন্টে ৭১ ফুট লম্বা নৌকার ম্যুরাল তৈরি করেন সফল ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। আর এর চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় ফুটে উঠে যেন পাল তোলা নৌকা ভাসছে নদীর জলে আর নৌকার হাল ধরে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই সময়ের লাল-নীল বাতিতে নৌকার ছুটে চলা দেশী-বিদেশী সবাইকে তো বটেই, নজর কাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও। নৌকার প্রতি এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপিকে তৎকালে ১০ হাজার টাকা উপহার দেন বঙ্গবন্ধু; ওই দিনের সেই স্মৃতি আজও আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি’র চোখের সামনে জ¦ল জ¦ল করছে। সেই দিনের স্বাাক্ষী ছিলেন দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতারা। স্বাধীনতার এতো বছর পরও বঙ্গবন্ধুর প্রতি আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি’র ভালোবাসা কমেনি এতোটুকু বরং প্রতি বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এবং ১৫ই আগস্টে আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদের নেতৃত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যা সরাসরি এশিয়ান টিভিতে সম্প্রচার করা হয়।

গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেট প্রতিষ্ঠার নায়ক আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। শুরুটা গল্পের অনুপ্রেরণায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চার অধ্যায় উপন্যাসে এলা অতীনকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি খদ্দর পরেন না কেন?’ ‘গায়ে সিল্কের পাঞ্জাবি, পাট করা মুগার চাদর কাঁধে’ এই অতীন কেন খদ্দর পরে না তা জিজ্ঞেস করার কারণ কিন্তু গভীর। খদ্দর বা খাদি যে শুধু কাপড় তা তো নয়; এর সূত্র দেশপ্রেমের সঙ্গে বাঁধা। বিলেতি মিলের কাপড় বর্জন করে দেশি তাঁতে বোনা খদ্দর পরাটা ছিল মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশি আন্দোলনের অন্যতম ভিত। উনিশ শতকের শুরুর দিকে যা ছিল স্বাধীনতার আন্দোলন, আজকের প্রেক্ষাপটে তার রূপ অন্য; ব্রিটিশরা বাংলা ছেড়েছে কিন্তু মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেওয়ার যে আহ্বান কবি রজনীকান্ত সেন জানিয়েছিলেন সেই সময়ে তা এখনো পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক।

আর এই প্রাসঙ্গিকতার গল্প তৈরি হয় ১৯৭২ সালে; ব্যবসায়ী হিসেবে যখন পথচলা শুরু হয় বিক্রমপুরের সন্তান আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপির। দেশীয় কাপড়ের ব্যবসায় শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাননি, তার লড়াইয়ে শামিল করেছেন অনেককে। একারণেই হয়তো মাত্র দু’বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপির নেতৃত্বে গড়ে উঠে খদ্দর মার্কেট। ঐ খদ্দর মার্কেটের জমি বরাদ্দের জন্য তৎকালীন ডিআইটি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কেননা; বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতারাসহ দেশের সকলেই খদ্দরের কাপড় ব্যবহার করে পোশাক পড়তেন। ফলশ্রুতিতে ৫২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে খদ্দর মার্কেটের জমি বরাদ্দ দেয় তৎকালীন ডিআইটি, যেখানে আজ সুউচ্চ ভবন নির্মিত হয়েছে এবং যা খদ্দরের নাম এখনও মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

কালের পরিক্রমায় খদ্দরের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মানুষের কাছে এখনও সমাদৃত। তবে শুরু থেকেই, বিশেষ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশেষ স্থান দখল করে নিতে পেরেছে দেশীয় এই কাপড়। অবশ্য এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপির মতো সংগ্রামী ব্যবসায়ীকে। তারই হাতধরে অনেকেই সফলতার সিড়ি বেয়ে উঠে গেছেন সাফল্যের স্বর্ণশিখরে।

আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপির মতে, খদ্দর কেবল কাপড়ে তৈরি একটি পণ্য নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর দৃঢ় অঙ্গীকার। ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে কারিগর ও ব্যবসায়ীদের খদ্দরের প্রতি বংশপরম্পরায় মমত্ববোধ ও দায়বদ্ধতাই এ শিল্পকে আজ এতদূর নিয়ে এসেছে। যার স্বাক্ষী হয়ে আছে এই খদ্দর মার্কেট।

ঢাকা-৫ আসনের মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটির আকাশছোঁয়া স্বপ্ন এদেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে। তাই যে কেউ ডাকলেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। বলা হয়, কেউ স্বার্থপর হয়ে সুখী, কেউ স্বার্থ বিলিয়ে সুখী। আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি স্বার্থ বিলিয়ে সুখীদের দলে। ‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদব সবার দঃুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে” পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের এই কবিতাটিই তিনি বুকে ধারণ করেন সবসময়।

গত ৩টি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে দলের মনোনয়ন লাভের জন্য সচেষ্ট থাকায় তাকে বিভিন্ন সময়ে দলের হাই কমান্ড থেকে বার বার আশ^স্ত করা হয়েছিল ধৈর্য্য ধারণ করার। তিনি অনেক ধৈর্য্য ধরেছেন এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে বার বার সেক্রিফাইজও করেছেন। যেহেতু ঢাকা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান মোল্লা ইন্তেকাল করায় ঐ আসনে উপ-নির্বাচন হবে, তাই ঢাকা-৫ আসনের উপ নির্বাচনে বাসিন্দাদের খুশির জোয়ারে ভাসাতে চান আলহাজ¦ মোঃ হারুন উর রশীদ সিআইপি, থাকতে চান মানুষের হৃদয়ে। এলাকাবাসীরাও আশা করেন, নৌকার কা-ারি হলে তিনিই পড়বেন বিজয়ের মালা; তাদের প্রত্যাশার পালেও লাগবে প্রাপ্তির হাওয়া। কেননা; প্রতিবছর উৎসব-পার্বণে, আপদে-বিপদে তিনি জনগণের পাশে থাকেন সবসময়। ঢাকা-৫ আসনেই তার স্থায়ী বসত বাড়ি, প্রতিষ্ঠা করেছেন যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল ও কলেজসহ বহু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। তাই ঐ আসনের জনগণ দল-মত নির্বিশেষে আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি-কে এবার এম.পি হিসেবে পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন।

সবসময় সাধারণের কাতারে থাকা এই মানুষটি অসাধারণ গল্প রচনা করছেন করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায়ও বৈশি^ক ওই করোনা দুর্যোগেও বসে নেই আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি, তিনি ১৯ মে ২০২০ উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর ওয়াসা রোডে, ২০ মে ২০২০ ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকায়, ২০ মে ২০২০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ২১ মে ২০২০ ঢাকা ৫ নির্বাচনী এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়, ২২ মে ২০২০ ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে এবং ২৪ মে ২০২০ রাজধানীর তেজকুনী পাড়য় নিজে সরাসরি ত্রাণ বিতরণ করেছেন, যা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও আলহাজ¦ হারুন-উর-রশীদের সহযোগিতায় ও সরাসরি তত্বাবধানে এশিয়ান টিভি’র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গত ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে যশোর, ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে নারায়ণগঞ্জ, ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ভোলা, ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে তেজগাঁও, ১৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ঝিকরগাছা, ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ঝিনাইদাহ, ০৮ মে ২০২০ তারিখে নারায়ণগঞ্জরে বন্দর, ১৬ মে ২০২০ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিনাউটি ইউনিয়ন, ১৬ মে ২০২০ তারিখে রাজধানীর আদাবর থানা, ২২ মে ২০২০ তারিখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, ২৩ মে ২০২০ তারিখে যশোর সদর উপজেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা, ২৩ মে ২০২০ তারিখে কুষ্টিয়া, ২৪ মে ২০২০ তারিখে ভোলা এবং ২৪ মে ২০২০, রংপুরের মিঠাপুকুরে ত্রাণ বিতরণ করা হয়, যা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি গত ২৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ০৫ মে ২০২০ তারিখে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আদাবর থানা কমিটির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব-খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় তিনি সমুজ্জ্বল। তিনি জাতিকে নতুন এক আশা দিয়েছেন, সেই আশার নাম, রূপকল্প-২০২১, বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার সেই আশা। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন সব বাংলাদেশকে, এক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন যেখানে সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে থাকবে দক্ষ জনশক্তি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, যেখানে থাকবে না ক্ষুধা ও দারিদ্র্য। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যেই বেঁচে আছেন জতির জনকের সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই ৭৩ বছর বয়সেও, তাঁর কাছে দেশের চেয়ে বড় কিছু নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের পথ প্রদর্শক, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অতন্দ্র প্রহরী, বিশ্ব শান্তির দূত, গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক, জাতির সার্বভৌমত্বের প্রতীক, নারী ক্ষমতায়নে অগ্রপথিক, তাঁর সহজাত নেতৃত্বে মুগ্ধ ১৬ কোটি বাঙালি। তিনি বারবার জঙ্গি গোষ্ঠীর একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হলেও বাবার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনো। উন্নত বাংলাদেশের পথিকৃৎ হয়ে আছেন সবার হৃদয়ের মণিকোঠায়। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনার নীতি কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে।

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা সাহসী এই প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনায় নিয়মিতই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর- রশীদ সিআইপি। কখনো শেখ হাসিনার জন্মদিন, কখনো বা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কিংবা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্ত দিবসসহ নানা দিবসে থাকে বিভিন্ন আয়োজন। আর তা এশিয়ান টেলিভিশনে প্রচারের মাধ্যমে পৌঁছে দেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। পদ্মা সেতুসহ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বাণীও ধারাবাহিকভাবে ২ বছর প্রচার করা হয় এশিয়ান টেলিভিশনে। সরকারের উন্নয়নের সংবাদ প্রচারে এশিয়ান টিভি অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা পালন করে, যা চলছে অবিরাম। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগের প্রতি আলহাজ¦ মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপির এমন দৃঢ় অবস্থান তার সাহসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সব বিভেদ ভুলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে মনের অন্ধকার দূর করার মন্ত্র আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি’র কণ্ঠে।

ভয়কে জয় করাই যার ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম যার নিত্যদিনের সঙ্গী…কেউ তারে দাবায়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত শপথে এগিয়ে যাচ্ছেন আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি; বিজয় যেন তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে …………………।

পিতা দিয়েছেন স্বাধীনতা, কন্যা গড়েছেন দেশ, এ আমাদের জন্মভূমি, সোনার বাংলাদেশ। এই স্লোগান মনে প্রাণে ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চান আলহাজ্জ্ব মোঃ হারুন-উর-রশীদ সিআইপি।

আরও খবর

Sponsered content