প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২০ , ৯:১৮:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত (শুক্রবার সকাল ১০টা) আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ লাখ ২ হাজার ৬৬২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২১০ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এরই মধ্যে ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এই ভাইরাসের তেমন কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে।
আগামী বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময় অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান। খবর সিএনএন’র।
প্রতিবেদনে জানা যায়, করোনার ভ্যাকসিন কখন অনুমোদন দেওয়া হবে এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেটি পৌঁছাবে এমন প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ডিরেক্টর ডা. ফ্রান্সিস কলিন্সের কাছে। তখন এই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের প্রথম দিকে আমরা ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) ডোজ ভ্যাকসিন দিতে পারব।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংক্রামক রোগ বিষয়ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর অ্যান্থনি ফাউসির চেয়েও কম আশার কথা শোনালেন ফ্রান্সিস কলিন্স।
বুধবার আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালের এক লাইভ প্রশ্নে ডক্টর ফাউসি বলেছিলেন, ২০২১ সালের শুরুতে কয়েক মিলিয়ন ডোজ আমরা পাব বলে আশা করছি।
এখন পর্যন্ত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডের্না এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনসার ভ্যাকসিন গবেষণায় এগিয়ে আছে। মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর পর ভ্যাকসিন নিয়ে তারা বেশ আশাবাদী।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, জনসন অ্যান্ড জনসন, সানোফি এবং মের্ক ভ্যাকসিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা কেউ এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারেনি।
ডা. কলিন্স বলেন, কয়টি ভ্যাকসিন আসছে এ নিয়ে সবার মধ্যে কৌশলগত অবস্থান আছে। তবে আমি আশাবাদী অন্তত একটি নিয়ে, সেটি এখন দুই বা তিনও হতে পারে। যার মধ্যে একটি হলেও কাজ করবে বা একাধিকও করতে পারে।
তিনি জানান, জুলাইতে একাধিক ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। ভ্যাকসিনগুলোর তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে যাবে, যার সঙ্গে যুক্ত আছে ৩০ হাজার মানুষ।
আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় আগ থেকেই শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৯ লাখ ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার।