প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২০ , ৭:১৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক॥ নতুন অর্থবছরের শুরুতে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, ভোজ্যতেল ও আদার দাম। তবে সব ধরনের শাক-সবজির দাম আবার বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাঝারি ও সরু চালের দাম। মোটা চাল আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ বুধবার থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। এবারের বাজেটে ভোগ্যপণ্য বিশেষ করে চাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন ও মসলার দাম কমানোর পদক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু বাজেটে ঘোষণার পর দাম না কমে বরং বেড়েছে চালের দাম। এতে করে সাধারণ ভোক্তাদের কষ্ট বেড়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে তবে চড়া সবজির বাজার। গড়ে ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোন সবজি নেই। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। আষাঢ়ে বৃষ্টি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দেয়ার কারণে সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এর একটি প্রভাব পড়েছে বাজারে। পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। লাউ, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, বরবটি, করল্লা, পেঁপে, কাঁচকলাসহ সব ধরনের সবজির দাম এখন চড়া। এসব সবজি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা বাজারে। এছাড়া কাঁচা মরিচ জাত ও মানভেদে ১৫০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম এবং দাম বেশি। আর এ কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে।
এদিকে, নতুন অর্থবছরের শুরুতে দাম কমে প্রতিকেজি পেঁয়াজ দেশী ৩৫-৪০, আমদানি ২০-৩০, রসুন আমদানি ৯০-১১০, রসুন দেশী ৯০-১০০, ভোজ্যতেল লুজ প্রতিলিটার ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে চারেলর দাম। চাল সরু নাজিরশাইল ও মিননিকেট ৫৫-৬৮ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৪৫-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। মোটা চাল আগের দামে ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে মোটা চাল চায়না ইরি ও স্বর্ণা চাল বাজারে ৩৮-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী মাছ ও গরু-খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।