প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৪:৩০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
চরফ্যাশন উপজেলার আবুবক্কর ইউনিয়ন আনসার ও ভিডিপির দল নেতা জেসমিনের বিরুদ্ধে ৮ বছর পর্যন্ত বোনের সনদ দিয়ে চাকুরী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ বছরের ২লাখ ৪০হাজার টাকা সরকারি
খাতে জমা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামের আবুল হাসেমের মেয়ে জেসমিন বেগম। তার বড় মেয়ের নাম তাছলিমা
বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্রে মোসাঃ জেসমিন স্বামী মো. সিরাজ পড়া লেখা তেমন করেননি। বড় বোন তাছলিমা বেগম এসএসসি পাশ সনদ রয়েছে। জেসমিন তাছলিমার সনদ ব্যবহার করে চরফ্যাশন উপজেলার আনসার ভিডিপি অফিসের মাধ্যমে ১ জুলাই/২০১২ সালে দলনেতা হিসাবে চাকুরি নেন আবুবক্করপুর ইউনিয়ন দলনেত্রী হিসাবে।
দীর্ঘ ৮ বছরের মোট ২লাখ ৪০হাজার টাকা সরকারের খাত থেকে গ্রহণ করেন। অফিস আদালতে তাছলিমা বেগম হিসাবে
পরিচয় থাকলেও বাড়ীতে ও স্বামীর কাছে তিনি জেসমিন। উপজেলা আনসার ভিডিপির জনৈক তৎকালীন জনৈক কর্মকর্তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক জড়িয়ে পড়লে আবুবক্করপুর গ্রামে স্থানীয়রা আটক করে শালিশ বৈঠক হয়ে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার ফয়সালার মাধ্যমে জেসমিন আবুবক্করপুর গ্রাম থেকে নিজের বাপের বাড়ী হালিমাবাদ ২নং ওয়ার্ডে চলে যায়।
এতে ষ্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকার নামা সই-স্বাক্ষর রয়েছে জেসমিন নামে। জেসমিনের ছেলে মো. সাজ্জামুল ইসলামের এস এসসির
নম্বারপত্রেও পিতার নাম সিরাজ রয়েছে। জেসমিনের স্বামী সিরজ বলেন, আমার জেঁস তাছলিমা বেগমের সার্টিফিকেট দিয়ে জেসমিন চাকুরী করছে। আমার সংসার নষ্ট হওয়ার পথে। অফিসের এক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কের কারনে আমি লোক লজ্জায় ঢাকায় দিন মজুরের কাজ করছি।
এই ব্যপারে জেসমিন বলেন, আমার নাম তাছলিমা ওরফে জেসমিন। আমার স্বামীর নাম সিরাজ। জেসমিন কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার ডাকনাম তাছলিমা। আমি ১৯৭৮সালে আমিনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করছি। তবে সার্টিফিকেট দেখাতে নারাজ। চরফ্যাশন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন আসছি কিছু জানিনা। তালিমার ব্যাপারে ভোলা জেলা কমান্ডার কার্যালয়ে তদন্ত হয়েছে আমি এখনও রিপোর্ট পাইনি।