Uncategorized

বাকেরগঞ্জে বেপরোয়া নারী প্রতারকের কবলে কবাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল

  প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২০ , ৭:৩৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।

এক দুর্ধর্ষ নারী প্রতারকের কবলে পড়েছেন বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম। উপজেলার কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের আব্দুল ওহাব আকনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছে।

সে কখনো ফাতেমা আক্তার আবার কখনো রুমানা আক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছেন।

এই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে অনেকেই নাজেহাল হচ্ছেন। এবার ওই দুর্ধর্ষ নারী প্রতারকের কবলে পড়েছেন বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম।

সূত্র মতে জানা যায় যে, অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলামকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ি বাকেরগঞ্জ থানায় সাজানো ধর্ষণ মামলা করার চেষ্টা চালানো হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেন-দরবার করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তিনি অধ্যক্ষ শহিদুলের নামে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ সংক্রান্তে থানায় পরপর বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করে নারী প্রতারক ফাতেমা।

কিন্তু অসংলগ্ন এই অভিযোগের একটির সাথে আরেকটির কোনো মিল নেই। অভিযোগে নিজের যে পরিচয় দেয়া হয়েছে, তাতেও রয়েছে জালজালিয়াতি। এছাড়া বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়েও মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনার সূত্র ধরে গত ৯ জুন বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ফাতেমা আক্তার। আসলে ওই প্রতারকের নাম রুমানা আক্তার। তিনি নিজেকে অবিবাহিত দাবী করছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার খলিলুর রহমান মুন্সির ছেলে মাসুদুর রহমানকে পালিয়ে বিয়ে করেন এবং সোহান নামের ৫ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে তার।

সংবাদ সম্মেলন এবং থানায় নিজেকে মাছুয়াখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মি উল্লেখ করে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেও তা আদৌ সত্য নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুমানা আক্তার কিংবা ফাতেমা আক্তার নামে কেউ ওই ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন না এবং বর্তমানেও নেই। এছাড়া মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেকে মাছুয়াখালী শের-ই- বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, সরকারি বিএম কলেজ আবার কখনো জনতা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি মাছুয়াখালী আর্শেদিয়া দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পালিয়ে বিয়ে করেছেন। এরপর আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি তার।

সূত্র আরও জানান যে, এই নারী প্রতারকের ভয়ে স্থানীয়রা কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। প্রতারক ফাতেমা (রুমানা আক্তার) অবৈধ প্রয়োজন মেটাতে বিশেষ ব্যক্তিদের টার্গেট করে আজগুবি দাবী-দাওয়া করে থাকেন। কেউ দাবী-দাওয়া পূরণে ব্যর্থ হলে কিংবা অপারগতা প্রকাশ করলেই তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নাজেহাল করা হয়। স্থানীয়দের দাবী, এরকমই ঘটনার শিকার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম।

বিদ্র পাঠকঃ-

উপরোক্ত নারী নির্যাতনের সাজানো নাটকের বিষয়ে স্বার্থ আদায়ের গল্পের ভিকটিম ফাতেমা আক্তার ছদ্মনাম (রুমানা আক্তার) এর মৌখিক বক্তব্য সংগ্রহ করার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content