প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৬:৫৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া প্রতিনিধি :
কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার মোল্লার নির্দেশে শ্যালিকার নেতৃত্বে জমি দখলের চেষ্টায় রোপনকৃত আমন বীজ উপড়ে ফেলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে সাংবাদিক নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো: খাইরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কলাপাড়া উপজেলার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের মোল্লা পরিবার, এখন সাধারণ মানুষের কাছে একটি মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।
বড় ভাই বারেক মোল্লা কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র, ছোট ভাই আনছার মোল্লা ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বড় ভাই বারেক মোল্লা কুয়াকাটা পৌর আ.লীগের সভাপতি, ছোট ভাই আনছার মোল্লা ৭ নং লতাচাপলী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় রাজনীতির সকল ক্ষমতা একটি পরিবারের হাতে কুক্ষিগত থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে একদিকে তারা যেমন বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন অপর দিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করে চলছেন।
দিনের পর দিন এভাবে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্নি হয়ে থাকলেও নির্যাতনের ভয়ে অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। উল্লেখ্য শুধু মোল্লা পরিবারের শীর্ষ দুই ব্যক্তিই নয়, তাদের ছত্র ছায়ায় থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয় স্বজন এবং তাদের লালিত পালিত বাহিনীর হাতে নীরিহ মানুষের সম্পত্তি দখল, রোপন কৃত বীজ উপড়ে ফেলা, এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা এখন তাদের নেশা এবং পেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের জমাজমি নিজেরা চাষাবাদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।
আমাদের স্বত্ব ও ভোগ দখলীয় জমাজমি যাহা বিগত বি এস জরিপে ৫৮ নং জে এল আলীপুর মৌজায় বি এস ১৩৩৫ নং খতিয়ানের ২-৩২ শতাংশ জমি শুদ্ধমতে আমাদের নামে রেকর্ড হয়। উক্ত জমির মধ্যে ০-৫০ শতাংশ জমি ৭নং লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনসার মোল্লার শ্যালক মাসুদ বেপারী গং অবৈধভাবে দখলের অপচেষ্টা করে আসছে। চলতি আমন মৌসুমে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে উক্ত জমি ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে চাষাবাদ করিয়া আমন ফসল রোপন করি। যাহা বিগত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর চাচাতো শ্যালীকা দুই সন্তানের জননী মোসা: সালমা বেগম (২৮) উপড়ে ফেলে অপূরনেীয় ক্ষতি সাধন করে ।
যাহা আমর চাচা মতিউর রহমান মহিপুর থানায় অবগত করলে এস আই আসাদ এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সালমা বেগমকে বীজ উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেন। এ সময় এলাকার বহু লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ২০০ ফুট দূরে রাস্তায় দাড়িয়ে রোপনকৃত বীজ উপড়ে ফেলার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন এবং অনেকই উক্ত দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়। যার নং ৩৫৪ তাং ০৯/০৯/২০২০ ইং। ঘটনার দিন ও সময় আমি পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপায় ছিলাম এবং আমার চাচা মতিউর রহমান মহিপুর থানায় ছিল অথচ বাদী, দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আমাকে ৬ নং ও আমার চাচাকে ১নং আসামী করেন। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামীরা ঘটনার সময় কেহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। মামলার ১ নং স্বাক্ষী সালমা বেগম বীজ উপড়ে ফেলার পর সম্পুর্ন সুস্থ শরীরে ঘটনাস্থল থেকে পায় হেটে তার ফুফু মমতাজ বেগমের বাড়িতে চলে যায়।
যাহা ভিডিও ফুটেছে ধারণ করা আছে। তিনি দাবী করেন, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১০-০৯-২০২০ তারিখে আমিসহ মোট ৬ জনকে আসামী করে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি মিথ্য্ধাসঢ়; মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালে আমাদের স্বত্ব ভোগ দখলীয় জমিতে রোপনকৃত বীজ উপড়ে ফেলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানী করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।