Uncategorized

ভোলায় আওয়ামীলীগ নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে স্পিডবোট চালকের নাটক !

  প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২০ , ১০:৫৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

{"subsource":"done_button","uid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1571667740062","source":"other","origin":"gallery","source_sid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1606301732537"}

আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা :-  ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এক মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের এক স্পিডবোট চালকের বিরুদ্ধে।

মিথ্যা নাটক সাজাতে নিজেকে গুরুতর আহত দাবি করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রাত পেরোতেই বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে চলে যান অভিযুক্ত নাটক তৈরির কারিগর হারুন মাঝি।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন নিজেকে একজন আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী দাবি করে সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাবুলের উপস্থিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইলিশা জংশন বাজারের লোকমানের ট্রান্সপোর্টের দোকানে নিয়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করেন। পরে রাতেই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে তাঁর চিকিৎসাধীন বেডে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, রাতে ভর্তি হয়ে সকালেই তিনি শ্রেইচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান।

এবিষয়ে হারুনের অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি উল্লেখ করে আনোয়ার জানান, হারুনকে লোকমানের ট্রান্সপোর্টের দোকানে দেখতে পেয়ে তিনি জানতে চেয়েছিলেন তাঁর ঘাটে হারুন স্পিডবোট ঘাট দিবে কিনা। এসময় হঠাৎ করেই কাউকে সম্বোধন না করেই হারুন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজন হারুনকে ওই দোকান থেকে বের করে দেন। এবং এরপরেই হারুন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তাকে আনোয়ার মারধর করেছে বলে দাবি করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাবুল জানান, এধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। হারুন আনোয়ারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার সকালে হারুনকে হাসপাতালে না পেয়ে মুঠোফোনে তাঁর চলে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি উক্ত প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো নিজেকেই বাঁচাতে মিথ্যা নাটক থেকে বাঁচতে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

আরও খবর

Sponsered content