প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২০ , ১:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিভিন্ন সময়ে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচনা-সমলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মহিপুর থানা পুলিশ। থানার পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজেশ, তদবির বাণিজ্যে স্থানীয় কিছু সংখ্যক অসাধু চক্রের যখন লাগামহীন প্রভাব প্রতিয়মান, ঠিক সেই মূহুর্তে বিস্তার অভিযোগের সীমারেখায় অবস্থান করছে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জানের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড।
আইনের সহযোগীতা পেতে থানা পুলিশের দারস্ত হয়ে অভিযোগ গ্রহন না হওয়া এবং ভূমিদস্যুদের দখলকার্যে সহযোগীতা করায় মহিপুর থানার এই পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভোগী বাচ্চু শেখ। এর আগে থানা পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে সংবাদের শিরোনাম ও বিস্তারিত নিয়ে বরিশাল থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গনমাধ্যমে উঠে আসে ওসি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া বাচ্চু শেখের অভিযোগ। পরবর্তীতে ২৫ নভেম্বর পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানাধিন মৃত শাহআলম শেখের ছেলে বাচ্চু শেখ সাবেক জেলা বাকেরগঞ্জ হাল, পটুয়াখালী ষ্টেশন সাবেক কলাপাড়া হালে মহিপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস খেপুপাড়া অধিনে ৩৪ নং জেএল ভূক্ত লতাচাপলী মৌজা ও হাল এসএ ১২২৬ নং খতিয়ানে ১০ একর জমিতে সেকান্দার আলীর ১৬ আনা অংশে শুদ্ধমতে রেকর্ড থেকে বিগত ২০০৯ সালের ২৭ আগষ্ট তারিখে ৪৪৭৪ নং সাব কবলা দলিলমূলে ১ একর ৫৯ শতাংশ জমি ক্রয় করি। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ সনের ৮৭০ কে/(পি-১) নং নামজারী সহ খারিজ মোকদ্দমার ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ তারিখের আদেশবলে ২৮০৩ নং খতিয়ান খুলে ৫৩৩১/৫৩২৫/৫৩৩৩/৫১৮১ নং দাগে ১ একর ৫৯ শতাংশ জমিতে সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করে বহু বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে।
তার তফসিলভুক্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে দখলের উদ্দেশ্যে ঐ এলাকার ভূমিখেকো জাহাঙ্গীর ও আলমগীর পায়তারা চালায়। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে তারা। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে দলবল সহ জমিতে পাঁকা প্রাচীর সীমানার মাধ্যমে দখল মিশনে নামে ভূমিখেকো এই বাহিনী। এসময় তিনি প্রতিবাদ করলে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। দখলবাজদের এমন তোপের মুখে উপায় না পেয়ে জমি দখলের অভিযোগ এনে আইনের বিচার পেতে তাৎক্ষনিকভাবে থানায় উপস্থিত হলে কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি মহিপুর থানা পুলিশ।
বিভিন্ন কথার মাধ্যমে তিরস্কার করে থানা থেকে বের করে দেয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান। শুধু তাই নয় তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে দখল কাজ চলমান রেখে তাদের দখল কার্যক্রমে সহযোগীতা করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ওসি মনিরুজ্জামান বাচ্চু শেখকে মাদক দিয়ে আটকের হুমকীও প্রদান করেন। জানা গেছে, তিনি থানা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তার এমন আচরণ ও ভূমিকায় মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন কর্মকাণ্ডের সঠিক বিচার পেতে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।