প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২০ , ৫:৩১:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক রাজাপুর ঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের দুি̈ণ মনোহরপুর ভাড়া দোকান ছাড়তে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৪ ব্যক্তিকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে জখম করে উল্ট মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার হয়ে মামলা করায় আসামীরা রাজাপুর থানায় উল্ট মামলা করায় জখম এ ৪ ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় পঙ্গু হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। ২৪ মে রোববার দুপুরে জাকির হোসেন মিনু সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন। জাকির হোসেন মিনুর অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মনোহরপুর আফজাল হোসেন হাওলাদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম লিটন নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে ১৭ মে রাতে বাড়ি থেকে মসজিদে রওনা হলে পথিমধ্যে ব্রীজের উপরে পৌছালে পূর্ব বিরোধের জের ও ভাড়া দোকান ছাড়তে বলায় শাওন হাওলাদার, সজীব হাওলদার, শাহিন, হালিম, বুলু, মালেক হাওলাদার, বাধি̀, বাবু, লতিফ, আবুল কালাম, ইসমাইল, রানা, সুলতান ও নাঈমসহ আরো ২/৩ জন মিলে পূর্ব পরিকরি́তভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ডান হাতের কনুই আঙ্গুল কেটে নেয় এবং আরও ২টি আঙ্গুলের রগ কেটে দেয়। এছাড়াও জাহিদের ডান হাতের কনুই, মাথা ও ডান পা কুপিয়ে মারত্মক জখম করে। জাহিদের আত্মচিৎকারে স্বজন আমির হোসেন বাচ্চু, জাকির হোসেন মিনু, আলকাছ হোসেন হাওলাদার, রিপন হাওলাদার ও শিপন হাওলাদার জাহিদকে সাহজ্যের জন্য এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর ও কুপিয়ে জখম করে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মারাত্মক রক্তজ্ক্ষরন ও জখম হওয়া রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জাহিদুল ইসলাম লিটন ও আমির হোসেন বাচ্চুকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়। জাহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঈদের পর তাকে ঢাকার পঙ্গুতে ভর্তি করা হবে। জাকির হোসেন মিনু আরও অভিযোগ করে জানান, এ ঘটনায় পরের দিন ১৮ মে জাহিদের বাবা আফজাল হোসেন বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। কিন্তু মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টো মামলার বাদি ও জখমীদের বিরুদ্ধে আসামীরা বাদি হয়ে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আহত ব্যক্তিরা এ মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়ায় সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছেন।
অভিযুক্ত আবুল কালাম দাবি করেন, কেলায় বসে পোলাপান গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়িতে হামলা করে। এতে আবুল কালাম, আব্দুল লতিজ, জাহানারা বেগম, কুরছিয়া, পিয়ারা বেগম, কুন্টুকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
প্রথম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাদা জানান, তার মামলার সুলতান নামে একজন গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ্য মামলা করেছে।