প্রতিনিধি ৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৭:৫৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥
জমি কেনার নেশা ছিল ডিবির এসআই মহিউদ্দিনের । সেই কেনা জমির কাজে কেউ বাধাঁ হয়ে দাঁড়ালে তাকেই পড়তে হয় মামলার বেড়াজালে । শুধু মামলাই দেয়া নয়, কারও দেয়া হয়েছে ক্রস ফায়ারের হুমকি । মঙ্গলবার ( ৫ জানুয়ারি ) সরেজমিনে নগরীর সাগরদি এলাকায় ঘুরে স্থায়ী বাসিন্দারদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
সাগরদী এলাকার একাধীক বাসিন্দা বলেন, সাগরদি ও রুপাতলী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মহিউদ্দিনের কয়েক শতক সম্পতি রয়েছে। মহিউদ্দিনের এসব জমির ভিতরে মালিকানার চেয়ে বেশিরভাগ সরকারি খাস জমি রয়েছে । প্রশাসনের উধবর্তন কর্মর্কতা তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসতে পারে বলেন তারা । হারিছুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বরিশাল পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন সূত্রে জানা গেছে ,রুপাতলী পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় ৩৩ শতাংশ , উকিল বাড়ী সড়কে রফিক মেম্বারের বাড়ির পিছনে ৬ শতাংশ, র্যাব-৮ অফিসের পিছনে ৩০ শতাংশ, রুপাতলী জাগুয়া স্কুলের পিছনে ১০ শতাংশ, বরিশাল বিশ্ব বিদ্যালয দ্বিতীয় ব্রীজের পরে ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে এসআই মহিউদ্দিনের। শের-ই-বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা ইট-বালু ব্যবসায়ী মোঃ হারিছুল ইসলাম বলেন, আমার পৈত্রিক ওয়ারিশ এর ৪ শতাংশ জমি ওয়ারিশ গনের কাছ থেকে পাওয়ার নেই। সেই জমির উপর এসআই মহিউদ্দিনের নজর পরে । পরবর্তি আমার জমি দখলের পায়তারা চালানোসহ আমাকে মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে মহিউদ্দিন। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বলে ‘তোকে মেরে ফেলবো তুই ঐ জমির কাছে যাবি না’ । ‘আমি মহিউদ্দিন তোকে মেরে ফেললে কিছুই হবেনা’ , ‘বলবো ইনকাউন্টারে মারা গেছে বলে চালিয়ে দিব’। তখন আমার ডাকচিৎকারে বাড়ীর লোকজন ছুটে আসলে গালিগালাজ করতে করতে এসআই মহিউদ্দিন চলে যায়। হীরু তালুকদার নামে এক ব্যক্তি মাদকসহ শের-ই-বাংলা সড়ক থেকে আটক হয় । তিন দিন পর ঐ মামলায় পলাতক আসামী দেখিয়ে আমাকে মহিউদ্দিন তার বাসায় ডেকে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । মহিউদ্দিনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগ করতে হয়েছে আমাকে।
তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে এসআই মহিউদ্দিনের মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা ও হুমকি এবং মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া থেকে পরিত্রান পেতে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রয়ারি বরিশাল পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়। পরে তদন্ত হলে এসআই মহিউদ্দিন তা ম্যানেজ করে ফেলে। এসআই মহিউদ্দিনের হয়রানির শিকার একই এলাকার স্কুল শিক্ষিকার ছেলে রুবেল বলেন, শের-ই-বাংলা সড়কে দোকান চালিয়ে সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসআই মহিউদ্দিন তা করতে দেয়নি। ব্যবসা চালাতে হলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা না দিলে মাদক মামলায় চালান দেয়া হবে , এমন হুমকি আমাকে দিয়েছে এসআই মহিউদ্দিন। তার হুমকিতে ব্যবসা করা হয়নি আমার। এদিকে হারিছুল ইসলামের ঐ লিখিত আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়, শের-ই-বাংলা সড়কের বাসিন্দা ইব্রাহীম খন্দকার, জাহিদ, রুপাতলী সোনারগাও এলাকার রফিক মীরা, মুনসুর মিরা , মনির মীরা, রুপাতলীর হাউজিংয়ের ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন, , চান্দুর মার্কেটের জালাল হোসেন (সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা)কে নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমান অর্থ।