প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৯:৩৬:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা॥ ভোলায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ পেতে যাচ্ছে ভোলা ও পটুয়াখালীর ১৬টি দুর্গম চরের বাসিন্দারা। মেঘনা তেঁতুলিয়া ও বুড়া গৌড়াঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত কাজের ইতোমধ্যে ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিচ্ছিন্ন এসব চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ৪থশ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ হচ্ছে।
চরগুলোর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার ভবানীপুর, মেদুয়া ও কাচিয়া চর। তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচর, সোনাপুর, চর জহিরউদ্দিন, চর মোজাম্মেল ও চর আব্দুল্লাহ্। চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরী-মুকরী ও মুজিবনগর।
এছাড়াও পটুয়াখালীর চর মমতাজ, চর বোরহান, চর বিশ্বাস, চর কাজল, চর হাদি ও লক্ষ্মীপুরের সোনার চরসহ মোট ১৬টি চর রয়েছে।
এসব চরে মোট জনসংখ্যা ২ লাখের মত। এখানে মোট বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে ১৪থশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে ৩৯ হাজার পরিবার। পরবর্তীতে গ্রাহক সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানান, ভোলা সদর উপজেলার ৩টি চরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের কাজ হয়েছে ৫০ ভাগ। তজুমদ্দিনের ৫টি চরে ও লক্ষ্মীপুরের চরে কাজ শেষ হবে আগামী জুনের মধ্যে। চরফ্যাশনের চর কুকরী-মুকরির ৭৫ ভাগ কাজ ও চর মুজিবনগরের ৮০ ভাগ হয়েছে।
এছাড়াও পটুয়াখালীর চর মমতাজে ৬০ ভাগ এবং বাকি ৪টি চরের কাজ ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। পটুয়াখালীর ৫টি চর ও লক্ষ্মীপুরের একটি চর ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় থাকায় এসব কাজ এখান থেকে করা হচ্ছে।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আবুল বাশার আজাদ জানান, ইতোমধ্যে সমগ্র জেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন অফগ্রীড এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌঁছানোর কাজ চলছে। এর মধ্যে চরফ্যাশনের মুজিবনগর চরে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন টানা হয়ে গেছে। কুকরী-মুকরীতে সাবমেরিন ক্যাবল চলে এসেছে। ১৫ দিনের মধ্যে নদীর তলদেশে দিয়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তজুমদ্দিন উপজেলার চরগুলো বাদে অন্যান্য চরগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ শেষ করে মার্চের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করার টার্গেট রয়েছে।
তিনি আরও জানান, যেখানে কখনো আমাদের সাবমেরিন ক্যাবল পৌঁছানো সম্ভব নয়, এমন ৩টি দূর্গম চরে সোলার (সৌরবিদ্যুত) দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এই কাজের টেন্ডার পক্রিয়া হয়ে গেছে। ৯থশ ৪৬টি সোলার দেওয়া হবে দৌলতখানের হাজিপুর চর, চরফ্যাশনের ঢালচর ও চর নিজামে। মার্চের মধ্যে এসব কাজ শেষ করা হবে।