Uncategorized

দৌলতখানে অভিযানে জব্দকৃত জাল বিক্রি হয় গোপনে

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২১ , ৭:৪৭:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

দৌলতখান প্রতিনিধি ‍॥
ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রশাসনের অভিযানের মধ্যেও উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে ইলিশ ধরা বন্ধে মৎস্য বিভাগের অভিযান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৎস্য বিভাগের অভিযানে জব্দকৃত জাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে গোপনে। এছাড়া, এসব অভিযানে আটক জেলেদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়ম ছাড়াই। মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবগত করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত শনিবার একটি ট্রলার ও স্পিডবোট যোগে দৌলতখানের মেঘনায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। ওই দিন দুই দফা মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ জন জেলে, তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অভিযানে জব্দকৃত জালগুলো দুই হাজার মিটার বলে জানানো হয়। অভিযান শেষ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল মেঘনার পাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কিন্তু ওই দিন রাতে অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, শনিবার মৎস্য দপ্তরের অভিযানে জব্দকৃত জাল অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলারের দুই মাঝি তসির ও মনির গোপনে বিক্রি করছিলেন। এ সময় তারা স্থানীয়দের তোপের মুখে পাড়েন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তসির ও মনির জাল ফেলে পালিয়ে যান। মৎস্য দপ্তরের যোগসাজসে তসির ও মনির জালগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে ট্রলারে রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘটনাটি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) আমির হোসেন জানান, ওই দিন (গত শনিবার) মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে জেলে, জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে জাল লুকিয়ে রাখার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। জাল বিক্রির খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তারা জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেছেন।

এ ছাড়া, অভিযানে আটক জেলেদের নিয়ম কানুন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন। তিনি জানান, আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভোলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউছার হোসেন বলেন, ‘মৎস্য দপ্তরের এ অনিয়মের দায়ভার উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করবেন না। ইতোমধ্যে মেঘনায় অভিযান পরিচালনার সময় নদীতে আটক জেলে ও নৌকা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা মৎস্য দপ্তরকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দায়ভার আমরা নেব না।’

আরও খবর

Sponsered content