প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২১ , ১০:০৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
আবু সায়েম, বাউফল (পটু্য়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে লাঞ্চিত করে, তার সাথে থাকা কাবিখার বিলের ৫০ হাজার টাকা ও আমার ব্যক্তিগত ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে ৭/৮ জন যুবক। গতকাল বিকেল আনুমানিক ৫ টার দিকে জয়ঘোড়া এলাকার জামালের দোকানের ভিতরে ও সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আগামী ২১ জুন নির্বাচনের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার (৫০) কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। তিঁনি আগামী নির্বাচনে ভ্যান-গাড়ি মার্কায় নির্বাচন করতেছে।
ইউপি সদস্য নিজাম হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গতকাল দুপুরে আমি বাউফলে আসি, উপজেলা পরিষদে গিয়ে সকল কার্যক্রম শেষ করে সোনালি ব্যাংক থেকে টাকা তুলি। কাবিখা’র বিলের টাকা ছিলো এগুলা। একই বান্ডিলে ৬৫ হাজার টাকা ছিলো। এরপরে আমি এলাকার দিকে যাই, সেখানে গিয়ে একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমি জাকির হাজীর বাড়িতে ঢুকি। ওই বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার সময় আমার সাথে আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জলিল হাওলাদারের সাথে দেখা হয়। বেড় হয়ে আমি বাড়ির সামনে জামালের দোকানে চা/পান খাওয়ার উদ্যেশ্যে বসি। কিছুক্ষণের ভিতরেই দোকানে ভিতরে ঢুকে ৭/৮ জন আমাকে লাঞ্চিত করে এবং আমাকে টেনে হিচড়ে দোকানের বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে আমার পরিহিত রেইনকোর্ট ছিড়ে প্যান্টের পকেট থেকে কাবিখা’র বিলের টাকাটা নিয়ে যায়। আমি ডাক-চিতকার দিলে আশে-পাশের লোকজন দৌড়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এই যুবকদের সকলকেই আমি চিনি। আমি বাউফল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি শতভাগ নিশ্চিত আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জলিল হাওলাদার এর নির্দেশেই আমাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। প্রশাসন চাইলে আসামিদের ফোনের কললিস্ট চেক করতে পারে। কললিস্ট চেক করলে অবশ্যই জলিলের সাথে তাদের যোগাযোগের প্রমাণ মিলবে।
তিঁনি আরো বলে; এ ছাড়াও এই জলিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা ছিলো। কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম হালি শহরের একটি চুরি মামলায় তিনি জেল হাজতে ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা আদালতে সে অপরাধী প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাকে ১ বছরে সশ্রম কারাদন্ড দেয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ততকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পটুয়াখালী-১ সদর আসনের সাবেক সাংসদ আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাথে তার খুব ভালো সক্ষতা ছিলো এবং আপনারা এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন তার(জলিল) পরিবার ও পূর্ব পুরুষ সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। ততকালীন সময়ে তার(জলিল) একাধিক মামলা নিষ্পত্তি করতে সহযোগিতা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এখন সে এলাকায় এসে চালকলীগ নামক একটি ভূইফোঁর সংগঠন তৈরী করে নিজেকে সেটার সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যাপক ত্রাস চালায় ও প্রভাব খাঁটায়। বাস্তবিক ভাবে চালকলীগ নামে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কোন সংগঠন নেই।
ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে সাংবাদিকদের হাতে সেই ফুটেজে পুরো বিষয়টি দেখা যায়।
থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আসামিরা হলেন, ১.মাসুম খান(৩২) পিতা: ফজরুল হক মাস্টার। ২. ইকবাল গাজী (২৮) পিতা: সোনা গাজী। ৩. মমিন(২২) পিতা: আউয়াল। ৪. গনি হাং (৪৫) পিতা: জয়নাল হাং(ভগা)। ৫. শান্ত(২০) পিতা মৃত আব্দুস সালাম। ৬. আইয়ুব(৩৫) পিতা: সিরাজুল হক। সর্ব সাং জয়ঘোড়া ১ নং ওয়ার্ড কনকদিয়া, বাউফল।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল-মামুন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।