দেশজুড়ে

রিহ্যাবে থাকা মাদক সেবনকারী যখন বানারীপাড়ায় মেম্বর প্রার্থী

  প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২১ , ১২:০০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের রিহ্যাবে থাকা মাদক সেবনকারী ইউপি সদস্য প্রার্থী হওয়ায় এলাকার সুশীল সমাজের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বানারীপাড়া উপজেলার প্রানকেন্দ্র হচ্ছে ০৭ নং সদর ইউনিয়ন।

পৌরসভা লাগোয়া মাছরং ৪ নং ওয়ার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা , শিক্ষকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের বসবাস। প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে জন প্রতিনিধি যিনি হবেন নিঃসন্দেহে তাকে স্বচরিত্রবান, মিষ্টভাষী এবং মাদক বিরোধী হতে হবে। এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে ঐ জনপ্রতিনিধিকে থাকতে হবে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেঞ্জ।

কিন্তু প্রার্থী যদি হয় মাদকসেবন কারী, যদি হয় চাদাবাজ তাহলে এলাকার যুবসমাজ নিমিশের মধ্যে ধ্বসের দ্বারপ্রান্তে যাবে। কতোটা নিরাপদ থাকবে এলাকার জনগন ঐ জন প্রতিনিধির হাতে। আর মাদক ও চাদাবাজের বিষয়ে এমনটাই অভিযোগ রয়েছে বানারীপাড়া উপজেলার ০৭ নং সদর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের এক ইউপি মেম্বর প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

০৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী সন্দীপ হালদার’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপ বিগত দিনে একটি চাদবাজী মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিল এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। জম্বদীপের হাসান নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে সন্দীপ পরিচয় গোপন রেখে মোবাইলে চাদা দাবী করলে হাসান বানারীপাড়া থানায় ঐ নাম্বারের বিপরীতে চাদাবাজি মামলা দায়ের করলে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ট্রাকিং এর মাধ্যমে সদর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের সন্দীপ হালদারকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে এবং কোর্টে প্রেরন করে।

পরবর্তীতে উভয়ের সমযোতার ভিত্তিতে মামলার নিস্পত্তি করা হয় বলে হাসান জানায়। অতিমাত্তায় মাদক সেবনের ফলে ঐ মেম্বর প্রার্থী সন্দীপ হালদার কিছুদিন পূর্বে তিন মাস মাদক নিরাময় কেন্দ্রে (রি হ্যাবে) ছিল। সুশীল সমাজ এমনটাই মনে করে যারা হবে সবার সেবক তারাই যদি মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তারাই যদি চাদাবাজ মামলায় আটক হয় তাহলে তারা কিভাবে সমাজের দায়িত্ব নিবে।

কিভাবে একটি পবিত্রে আসনে বসবে। তার নিয়ন্ত্রনে কতোটা নিরাপদ থাকবে এলাকার যুবসমাজ ? বিষয়টি এলাকায় টপ অব দ্যা নিউজে পরিনত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content