প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২০ , ৬:৪৪:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক ॥
‘ভেবেছিলাম শরীরে করোনার সংক্রমণ নিলে কয়েকদিনের মধ্যেই তা সেরে যাবে। আর আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। আমার শরীরে করোনাভাইরাস ধারণ করে ভেবেছিলাম আনন্দ পাবো। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি আমার পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে।’ মারণ ভাইরাসে পৃথিবী যখন তোলপাড়, তখনই এই অবাক করা গল্প শুনিয়েছেন জার্মানির মিট্টি প্রদেশের মেয়র স্টিফান ভন ডিজেল।
তার বয়স ৫৩বছর। ঝুঁকি আছে জেনেও চুপচাপ কাউকে না জানিয়ে অনেকদিন আগেই নিজের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ করিয়েছিলেন তিনি। জার্মানির গ্রিন পার্টির সদস্য ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন? তা নিয়ে এখন প্রশাসন একখন দ্বিধায়।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেকে ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্রমিত করেছিলাম। নিজেকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই এমনটা করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো তিন দিনের মতো শরীরে থাকবে, তারপর সুস্থ হয়ে উঠবো। তবে এটা আমার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি সময় আমাকে ভুগিয়েছে। এই সময়টা আমি সেলফ কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। যাতে অন্যকেউ সংক্রমিত না হয়।’
নিজের বান্ধবীর মাধ্যমে ভাইরাসটি নিজের শরীরে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মেয়র। ওই বান্ধবী সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের সময় করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু এরপরেই তিনি দেখতে পান, জার্মানিতে করোনা ভয়ানক আকার নিয়েছে। এটিকে নিয়ে আর হাসি ঠাট্টা করার মতো করোও অবস্থা নেই। এখন পর্যন্ত জার্মানিতে আক্রান্ত হযেছে প্রায় ৮৫ হাজার মানু্ষরে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারের ওপর।
প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মানি এতবড় বিপদের সামনে কোনওদিন পড়েনি। যদিও একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে এই কথা জানানোর পর মেয়র স্বীকার করেছেন, তার এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আগামী দিনে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে দেশের প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্ববান জানিয়েছেন তিনি।