প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ৪:৫৩:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
বরিশাল বিএম স্কুল প্রাঙনে ব্যাপিস্ট মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অনুর্ধ্ব ১৭ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের খেলোয়ারদের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। এদেরকে কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেনের লাটি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন।
আহতদের ২ শিক্ষার্থীকে আশংকা জনক অবস্থায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, বিএম স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র শাফিন (১৫), ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাজিম আহম্মেদ (২৫)।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১ টার বরিশাল বিএম স্কুল প্রাঙনে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাপিস্ট মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অনুর্ধ্ব ১৭ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালিন রেফারির ভূমিকায় কাশিপুর স্কুলের খেলোয়াররা অসন্তোষ জানালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার একপর্যায় দু’পক্ষের খেলোয়ারদের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে বিএম স্কুলের প্রধান লুৎফুর রহমান ও কেরানি ফিরোজ এগিয়ে আসলে দু’পক্ষের খেলোয়াররা তাদেরকেও মারধর করে। পরে বিএম স্কুলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ও কেরানিকে উদ্ধার করতে গেলে কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেনের লাটি দিয়ে পিটিয়ে ২ জনের মাথা ফাটিয়ে দেন। (এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে)। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এবং স্থানীয়রা আহত ২ জনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টা মিমাংশা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। খেলার মধ্যে এটা কাম্য ছিলোনা।
এব্যাপারে কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মামুন অর রশিদ বলেন, খেলা চলাকালিন আমি মিটিং এ ছিলাম। বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন এ কান্ড ঘটিয়েছেন তা আমি জানিনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের স্বজনরা।