প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:৫৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
দিলীপ কুমার দাস রাঙ্গাবালী:- রাঙ্গাবালীবাসির অকল্পনীয় প্রত্যাশা আর স্বপ্ন পুরোনের দ্বাড়গোরায় আলোকিত শহর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলা। কোন একসময় বিদ্যুৎ মানে স্বপ্ন ছিল এ অঞ্চলের মানুষের কাছে আজ এ স্বপ্ন পুরন হবে এ যেন এক ভিন্ন আনন্দ উপকূল বাসীর ।
উপজেলার ৪ শত ৭২ বর্গ কিলো মিটারের ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬’শত ৭২ টি পরিবারের ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ তায়নের মাধ্যমে ভাগ্যের পরবির্তন হবে দ্বীপাঞ্চল বাসিদের । দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের সরকারের ভুমিকা প্রশংসনীয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অবদান উপকূলীয় লোকজনদের কাছে একটি স্মরণীয় উপহার হয়ে থাকবে ।
প্রায় ৪০০শ, জনের “আলোর ফেরিওয়ালা” বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সমগ্র রাঙ্গাবালি উপজেলাকে আলোকিত করার জন্য নিরলস পরিশ্রমের সফলতায় গত ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র কোন সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষা মূলক ভাবে চালু করা হয়।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালি উপজেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদ্যুৎ এর লাইন উদ্বোধন করা হবে, তাই এ উপজেলা কে বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত করার জন্য দেশের বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হতে আগত ১২০ জন লাইন ক্রু ও জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার বৃন্দরা আলোর ফেরিওয়ালা” হিসাবে উপজেলায় এসে পৌঁছেছেন । বর্তমানে তারা বিভিন্ন উপদলে হয়ে রাঙ্গাবালি উপজেলার বিভিন্ন ইউনয়িনে গ্রামের লাইন চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেছেন,উপজেলায় একসাথে বিদ্যুৎ এর আলোর আলোকিত হবে এটাই তাদের প্রত্যাশা।
সংসদ সদস্য মো. মহিবুর রহমান মহিব(এমপি) প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেই আলোকে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যুতের এর কাজ তড়িৎ গতিতে এগিয়ে চলছে। ছোট বাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুল মান্নান এর বিনামূল্যে দানকরা ষাট শতাংশ জমির উপরে বিদ্যুৎ সাব-ষ্টিশন উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে ।যার কারনে রাংগাবালীবাসী অল্প সময়ের মধ্যে বিদুৎ এর আওতায় এসেছে।